তোমার মৃত্যু বার্ষিকি যে আজ
কেমন ছিল তোমার সে সমাজ
তুমি কি সত্যি করে জানতে না
কে শিখিয়েছিল সেই ডাক মা।
প্রথম কথা বলতে শিখিয়ে কে
চাদরে নক্সায় চিনলে পাখিকে
কাঁপি বলে ডেকেছিলে তাকে
আজ ভাঙা মন হারিয়ে ঋতুকে।
তেল মাখাতে মাখাতে চানের আগে
মাসিমণির গান তোমার ভালো লাগে
ঠাকুমা শেখালেন তেতো প্রথম পাতে
গরমে কুঁজো আর কাঁথা নিতে শীতে।
পথের পাঁচালী দিয়েছিল ছোট পিসিমণি
শ্যামলা রঙ বাঁধতো একটা মোটা বিনুনি।
ভাবতে তুমি যদি সে হতো তোমার দিদি
দুজনের মধ্যে ছিল এতই সম্পর্ক প্রীতি।
বাবা শেখালেন ফাউন্টেন পেনে লেখা
বাবার সাথে হয়েছিলে জাদুঘর দেখা
ইউ’ ছাড়া শুধু ‘কিউ’ দিয়ে হয়না বানান
ইংরেজি হরফের আসল নাম রােমান।
বড় হয়ে চাইলে পুরুষত্বের পরিবর্তন
নারীত্বের অনুভূতির এতোই প্রয়োজন
নিজের শরীরে ধরালে মারণ অসুখ
জীবনে পেলে কি আর সেই শান্তি সুখ?
অমূল্য তোমার সেই হীরের আংটি
প্রতিটি ছবি যে তোমার অপূর্ব সৃষ্টি
সবাই স্তম্ভিত হলো দেখে নৌকাডুবি
আবহমানকাল বাঁচুক ঋতুর ছবি।