দুঃস্বপ্ন
কতক্ষণ একা একা জেগে থাকা যায়? ঘুমের ওষুধটা আজ খেয়েই শুয়েছি। তবুও নিদ্রা যাযাবর। জানি আমার এ রোগ থেকে মুক্তি নেই। দেখছি মৃত্যুর হাতছানি। এখনও যে আমার সব কথা বলা হয়নি। কত কিছু আছে যা দেখিনি। আমার কাজ এখনও শেষ করিনি। আমার কানে কানে কেন এমনটাই প্রশ্ন? তুমি জান না আমি কাকে সবচেয়ে ভালবাসি। বাবা স্বামী না আমার সন্তান, কে আমার প্রিয় তাও তোমাকে জানতে হবে? কি লাভ তাতে? আমার রোগ, তাদের কাউকে দিয়ে তুমি আমাকে সুস্থ করতে চাও? এ তোমার কেমন কথা! আমি সুস্থ হয়ে দেখব প্রিয় মানুষটির যন্ত্রনা। এ কেমন তোমার ভাবনা। তুমি কিছুতেই পার না স্বামীর মধ্যে এ রোগ ছড়িয়ে দিতে। তার যে সহ্য ক্ষমতা কম। যাও আমার মাথায় আর হাত বোলাতে হবে না। অনেক্ষণ কথা বলেছ। এবার যাও। দূর হয়ে যাও। পাশে শুয়ে স্বামী আমায় ধাক্কা দিয়ে বললে কাকে সাত সকালে দূর হয়ে যেতে বলছ? চোখ মেলে দেখি ঘর্মাক্ত শরীরে আমি পাখার তলায়।
রাতে কেন যে ঘুম আসে না কে জানে। আলো নিভিয়ে চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করি কিন্তু ঘুম নামে না চোখের পাতায়।মনে জাগে নানারকম চিন্তা।কতরকম ভাবনা ভিড় জমায় রাতদুপুরে। এখন সবার শরীরে কোন না কোন রোগ বাসা বাঁধার সন্ধান করে। একবার শরীরে ভিত কেটে ঢুকলে কারো সাধ্যি নেই তাকে শরীর থেকে তাড়ায়। মেয়েদের শরীরের দুইটি অঙ্গে তাদের আক্রমণ করতে দেখা যায়। একটি ব্রেস্ট অপরটি ওভারি। এই দুই অঙ্গেই তারা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আচ্ছা এই রোগ কেন ঈশ্বরের শরীর খোঁজে না? কেন ঈশ্বর সৃষ্ট মানব মানবীর শরীর খোঁজে? এ শুধুই আমার দুঃস্বপ্ন। আমি সম্পূর্ণ সুস্থ। তবে কেন এল এই স্বপ্ন?