ঘুরতে, ঘুরতে,
ঘুরতে, ঘুরতে
ঘুরতে, ঘুরতে
যাই, চলে যাই-যেতে থাকি,
কোথায় যে যাই
নানা অলিগলি, খোলা রাস্তা
দরদালানের ভিড় পেরিয়ে অনেক
দূরে বিয়াবানে, নদীতীরে
চলে যাই, যাই হেঁটে হেঁটে। ঘাম মুছি,
বসে পড়ি বটমূলে। পাখিরা ভীষণ বোবা, সাঁই সাঁই হাওয়া।
আমার ভেতরে একজন নড়ে ওঠে,
কথা বলে, ভাষা তার কিছু বুঝি, কিছু বা বুঝি না; আচমকা
বাইরে বেরিয়ে আসে, হাত পাতে। আজব লোকটা
কী চায় আমার কাছে? আমার কিছুই
নেই, অল্পস্বল্প স্বপ্ন ব্যতীত এখন।
আমার স্বপ্নে কি তার ক্ষুধাগ্নি নিভবে?
খরখরে লোকটা জ্বলজ্বলে দৃষ্টি তার
গভীর স্থাপন করে দু’চোখে আমার
‘তোমার স্বপ্নই করো দান, আমি কিছু
স্বপ্ন চাই, আর্তনাদ, হাহাকার চাই
আর হু হু দীর্ঘশ্বাস-প্রসূত সঙ্গীত
চাই, বড় বেশি চাই;
‘নিজেকে উজাড় করে দাও, বলে সে চকিতে নেচে
ওঠে, পড়ে থাকি নিশ্চেতন, একা, পরিচয়হীন।