পারলে তুমি জলদি এসো হেথায় ভীষণ গন্ডগোল ,
মূক যে ছিলো সারা জীবন তার মুখেতে ফুটছে বোল !
আদুল গায়ে যে লোকটা বলদ জোড়ায় জুরতো মই ,
খোদার এমন করিস্মা যে তার মুখেতেও কথার খই ।
মাথায় নিয়ে শ্রমের বোঝা করতো যারা দিনাতিপাত ,
কেমন করে ঠিক বুঝেছে দিনের আলো আঁধার রাত ।
উঠতি যুবক বেকার মানুষ থাকতো যারা নেশায় বুঁদ ,
তারাই এখন চোখ পাকিয়ে বলছে কোথায় আসল খুঁত ।
বলতে যাদের বুদ্ধি নাকি হাঁটুর নীচে অনেক খানি ,
খুন্তি হাতে বলছে ডেকে কতো দুধে কতো পানি ।
আর বলোনা যে লোকটা নুয়ে আছে বয়স ভারে ,
তোমার কথা বলতে গেলেই এই মারে কি সেই মারে ।
ব্যাপার স্যাপার আমার কাছে লাগছে না আর ঠিকঠাক ,
বলছি তোমায় সত্যি কথা রাখছে না কেউ রাখঢাক ।
হুমকি দিয়ে চমকে দেওয়া ওটাই ছিলো কারসাজি ,
যাদের দিয়ে এসব হতো তারাও কেমন নিমরাজি ।
আসল কথা যেসব নিয়ম চলতো আগে দিনরাতে ,
সে সব যেন লাগছে এখন সবার কাছে জলভাতে ।
এসব দেখে আমার মনে লাগছে এখন ভীষণ ভয় ,
শুনেছিলাম কাশীর ঘাটে উল্টো নাকি গঙ্গা বয় ।
তুমি এলে হতেও পারে রামকে ছাড়া লঙ্কা জয় ॥