এখনও মাঝে মধ্যে সকালের উনুনের ধোঁয়া কাটিয়ে মাদারির খেলা হয় মফঃস্বলে ,
এখন দমকা ঝড়ে মশা মরে না তারা জায়গা বদল করে ঐখানে -সেইখানে – এখানে ,
শীতে বেশ ভিড় হয় স্কুল পড়ুয়াদের ঝিংকাস সার্কাসে ,
একই খেলা দেখে বারবার মজা পায় বিন্দাস ,
খুদে জোকারদের বন্ধু না হয়েও প্রাণভরে হাসে ।
আমরা এখন জামা পাল্টাতে ওস্তাদ ,
নানা রঙের জামা – লাল , গেরুয়া ,সবুজ কিংবা সাদা
যখন তখন পড়তে পারি , আমাদের বিবেক যদি জামার মতন রকমারি হতো ?
অবশ্য অনেকে বিবেক হারিয়ে ধান্দাচারি , সুবিধাবাদী যতো ।
আমাদের হারুবাবুর শীতে গরম আর গরমে শীত ,
বর্ষার বৃষ্টির মতন যখন তখন বত্রিশ দাঁতের ছত্রিশ ধরণের হাসি ।
গেনুপিসি অম্বলের সময় কম্বল চাপায় কুটকুটে ,
কানা ভিখারী ফাঁটা গলায় গান গায়ঃ প্যায়ার দে…. ।
দিঘি , পুকুর বুঝিয়ে প্রমোটার বৃন্দ উন্নয়ন করে ,
আবাসন শিল্প বাড়ে ।
পরিবেশের উন্নতির জন্য দূষণের পরোয়া না করে গাছ কাটা হয় ,
ফার্নিচার শিল্পের কাচামাল সাপ্নাই দেয় দালাল ।
কাটমানির টাকায় নেতারা টবে ক্যাকটাস এর বাগান করে ।
আমরা দাঁত কেলিয়ে হে হে করি ,
খেকুড়ে শকুন চোখ মেরে দাঁড়ায় জলহীন ট্যাঙ্কের ওপর ।
সময়ের আঁচড় নিয়ে খাদ্যদ্রব্য পাচার হয় সীমান্তে ,
ভিখারীর কাছ থেকে তোলা নেয় ফুটো মস্তান ,
নকল ভদ্রতায় আর মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে ভরে যায় সমাজ ,
বোধের রক্তক্ষরণে থমকে যাওয়া সভ্যতা কাঁদে ,
বারবার ফিরে আসে ভূমিকম্প ।