জ্যোৎস্না আজ গৃহত্যাগী!
মহাজাগতিক প্লট, চাঁদ আজ পিপাসার্ত পথিক,
একফালি চাঁদ বিবর্ণ মুখে জানালার শার্শি বেয়ে নামে,
সীমাহীন রিক্ততায় মধ্যরাতে প্রতিটি বাড়ির কার্নিশ যায় ছুঁয়ে,
ব্রহ্মাণ্ডে বিকট অন্ধকার পথে—
আত্মপ্রকাশের ইচ্ছায় চাঁদ আজ একাকী হাঁটে,
নিজস্ব মায়াবী ইন্দ্রজাল রেখেছে বাজি
গুমোট হাওয়ায় পুরনো স্মৃতির অ্যালবামে খোঁজে,
থরে থরে সাজানো হৃদয়ের ইতিহাস—
পৃথিবী, তুমি আজ চাঁদ আর সূর্যের মাঝে,
একই সরলরেখায় তোমার ভালোবাসা,
ঢেকে দিতে চাইছো গ্ৰহণের কালো আঁধারে চাঁদকে!
অন্ধকারে সাম্প্রতিক চক্রান্তের চোরা হাসি,,,,
আড়াল থেকে লণ্ডভণ্ডের নেশায় ছিলে মত্ত
ভালোবাসাবাসির সংঘর্ষ শতাব্দীর ইতিহাসে লিপিবদ্ধ রবে,
তরপর? বদলে যায় কী দৃশ্য?
কাট টু কাট বলবে বলে খুঁজতে খুঁজতে
প্রতিবেশী মঙ্গল আসে পৃথিবীর খুব কাছে,
অলিগলি চষে, ঘুরতে ঘুরতে যায় উল্টোদিকে—–
মধ্যরাতে ক্ষুধার্ত দুঃস্বপ্নে মুখ ঢাকে চাঁদ আঁধারে,
অনাসৃষ্টির ভয়ে আঁৎকে ওঠে অহংকারী চাঁদ,
রুক্ষ ধুলো ঝেড়ে, আস্তিনে চোখ মোছে,
তারপর? “অমনি বদলে গেল দৃশ্য”!
হঠাৎ ফাঁক পেয়ে বেড়িয়ে এলো চাঁদ
উদাসী বিলাপ ছেড়ে হোমের আগুনে নিজেকে শুচিশুদ্ধ করে,
ধীরে ধীরে সৌরলোকে পৃথিবীর ছায়া যায় সড়ে,
তৃষ্ণা ওঠে জেগে, সূর্যকে পূর্ণ করে পায় পরিতৃপ্ত চাঁদ—
আকাশের বুকে স্নিগ্ধ আলো ছড়িয়ে পূর্ণকলা চাঁদ—-