একচিলতে আকাশ,
টু বেডরুমের ছোট এক ফ্ল্যাট
…..আমাদের স্বপ্নের ঘরোন্দা।
রোজ ঐ নিয়েই কেটে যেত সময়,
পর্দার রং কী হবে!
কোন কোণে ভাস থাকবে?
নৈঋত, ঈশান, অগ্নি সব কোণে-
আমাদের ভালোবাসার ভূর্জপত্র রাখা থাকবে।
পোট্রেটগুলো কোথায় থাকবে?
জোর তর্ক এই নিয়ে…
দেখে শুনে গুনে মেপে
ঠিক হল;
বাঁ দিকের দেয়াল ঘেঁষে রাখা হবে।
জানালার ধারে একটা কৃষ্ণচূড়া ফুলের টব থাকবে,
মালী বলেছে বনসাই—
খুব একটা বাড়বে না,
যখন, লাল লাল ফুলে ছেয়ে যাবে গাছ
বেশ লাগবে—
দুহাত ভরে তুলে রাখবো
তোমার পড়ার টেবিলের ঐ কোণে-
আচ্ছা, দেয়ালের রং কী হবে?
খুব জমকালো রং নয় কিন্তু মোটেই—
ঠিকঠাক দেখেছো তো?
শপিংটা সেড়ে নেবো;
যখন সিজনাল অফ দেবে,
লিস্টটা তৈরি রেখো—
নেটে দেখে নিতে হবে,
সমস্ত জমানো সুখ সঙ্গী করে
রোজ একবুক স্বপ্ন নিয়ে বেরুনো।।
তামাটে দুপুরে সূর্যগলা বিটুমিন, ধোঁয়া ওঠা চিতার গরম,
ক্লান্ত দেহ ঘামে জবজব অন্ধকার নেমে আসে,
স্বপ্নগুলো দীর্ঘশ্বাস মেঘ হয়ে উড়ে যায় নিমেষে—
শহরটা ঘিরে আছে হাইরাইজ বিল্ডিংয়ে….
তবুও কম্পাসের কাঁটা যেন ঘোরে না,
আমাদের বাস-রুটে শেষ স্টপেজ আর আসে না,
জীবনকে জড়িয়ে আছে যে মুহূর্তগুলো, ভেঙ্গে যাচ্ছে দ্রুত…..
বিন্দু বিন্দু স্বপ্নের খরকুটোর গাঁথুনি,
সময়ের পরাজিত লাশ—
হায়, ঘুমের ঘোরে যে স্বপ্ন দেখা যায়
জেগে থেকে কেন দেখা যায় না!!