আন্ডারগ্রাউন্ড লাভ
আলতাব পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী৷ তার বাড়ি রাজবলহাটে। একজন রাজমিস্ত্রীর পরামর্শে ক্লাস এইট পাশ করার পরে বাড়ির কাউকে কিছু না বলে সে পালিয়ে যায় কাতার।সেখানে গিয়ে রাজমিস্ত্রীর কাজ শেখে।সেখানে সে দুই বছরের কন্ট্রাকটে কাজের সুযোগে পেয়ে থেকে যায়।সুরঙ্গ কাটা, সেতু তৈরীর কাজে হাত লাগায় সে
কাতারে। সেখানে বেশিরভাগ সময়ই রাতেরবেলা কাজ করত। মাস গেলে হাতে আশি থেকে নব্বুই হাজার সে পেত। সেখানে দিনেরবেলা চামড়া পোড়ানো গরম থাকত বলে রাতেই কাজ হত। রাতে কাজ করতেই সে অভ্যস্ত ছিল।যাক নির্ধারিত সময় শেষ হলে সে আর নিজের বাড়ি ফিরে আসেনি। তখন থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে কাজ করে বাসাঘরে থাকে।ভাবনায় ছিল ব্যবসা করবে।
হুগলি জেলার ঢুলিপাড়া দিঘির ধারে সে একটি
বাড়ি তৈরির কাজ পায়। সেখানেই তখন থেকে বাসাঘরে প্রায় পাঁচ বছর ধরে একা আছে আলতাব।বেশ পরিচিতি হয়ে গেছে এলাকায়। নিজেই কর্মচারিদের নিয়ে কাজ করে। বাড়ি তৈরির সুবাদে জয় ও পামেলার সঙ্গে আলতাবের পরিচয় হয়। আলতাবের বাসাঘরের পেছনের জমিতেই পামেলাদের বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করে আলতাব।জমির ভিত কাটা থেকে সব দায়িত্ব আলতাবের উপরই ছেড়ে দিয়েছিল জয়।
পামেলার স্বামী জয় নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কাজ করত।জয় ছুটির দিন ছাড়া আলতাবের কাজের সময় থাকতে পারত না।সারাদিন কাজ দেখাশোনা করত পামেলা। এইভাবে দিনের পর দিন এক সাথে কাজ করতে করতে পামেলার সঙ্গে আলতাবের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। প্রেমের বিদুৎ তরঙ্গ দুজনেই সেটা অনুভব করেছিল। বাড়ির
কাজ চলাকালিন দুজনে আরও নিবিড় ও ঘনিষ্ঠ
হয়ে পড়ে। বাড়ি তৈরি শেষ হওয়ার পরেও যাতে
প্রেমে কোন বাধা না আসে তাই এক মতলব আসে
আলতাবের মাথায়। সে পামেলাকে জানায় বাড়িতে যাতায়াতের জন্য সে একটি সুরঙ্গ পথ তৈরি করতে চায়। তার
মত নিয়েই গোপনে লোকচক্ষুর আড়ালে নিভৃতে প্রেম চালিয়ে যাওয়ার জন্য রাতের আঁধারে বাসাবাড়ি থেকে পামেলার বাড়ি পর্যন্ত নিজে দীর্ঘ সুড়ঙ্গ খুঁড়েছিল। দীর্ঘদিন এভাবেই ‘আন্ডারগ্রাউন্ড লাভ চলছিল তাদের’৷
বাড়ির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে জয় প্রতিদিন কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই আলতাব প্রেমের গোপন সুড়ঙ্গ ধরে পামেলার সঙ্গে দেখা করতে আসত।
প্রেমে পড়লে মানুষ কী না করতে পারে! প্রেমিকার সঙ্গে ‘চোরি-চোরি, চুপকে-চুপকে’ পরকীয়া চালানোর জন্য দীর্ঘ সুড়ঙ্গকে ব্যবহার করেছিল ঢুলিপাড়ার আলতাব।
দশ বছর বিয়ে হয়েছে জয় পামেলার।কিন্তু তারা নিঃসন্তান।আশেপাশে কারোর সঙ্গে তেমন মেলামেশা করে না পামেলা ।নিজের ঘরেই নিজের মতো থাকে। ঘর গুছিয়ে সাজিয়ে রাখাই তার নেশা। একেবারে টিপটপ পামেলার ঘর।নিজেই রান্না থেকে ঘরের সমস্ত কাজ নিজেই করতে পছন্দ করে।
আলতাবের সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর থেকে পামেলা একটু অন্য রকম হয়ে যায়।
জয় ভাবে নতুন মনের মতো বাড়ি পেয়ে হয়তো খুশি থাকে সবসময়। জয় ও পামেলার সম্পর্ক প্রথম দিক থেকে তেমন জমানো ছিল না।কাজটাই ছিল জয়ের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই জয়ের প্রতি পামেলার টান তেমন ছিল না।প্রথম থেকেই কেমন ছাড়া ছাড়া ভাব।
এদিকে আলতাবের সঙ্গে সম্পর্ক হওয়ার পর থেকেই দুজনের মধ্যে মাখো মাখো ভাব তৈরী হয়।
সম্পর্ক গাঢ় হতে থাকে ক্রমশ। জয় সেসব খেয়াল করেনি কোনদিন।জয় আত্মভোলা কাজ পাগল মানুষ।পামেলার আনমনা ভাব জয়ের চোখে ধরা পড়েনি । পামেলাও আলতাবের
প্রতি অনুরক্ত হলেও জয়কে অবজ্ঞা করত না। শুধু জয় পামেলাকে সময় দিত না বলে দুজনের মধ্যে একটা দুরত্ব তৈরি হয়েছিল। পামেলা এতো হাসিখুশি থাকত জয়ের সেখানে কোন সন্দেহ জাগতই না।শুধু জয়ের বেরিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকত পামেলা।জয় বেরিয়ে গেলেই সুখ দুঃখের কথায় মজে যেত দুজনেই।
আলতাব ছিল অবিবাহিত। জয়ের থেকে বেশ
আবেগী ও মিষ্টিভাষি রসিক স্বভাবের। পামেলা
কিভাবে যেন তার বশীভূত হয়ে যায়।আলতাবের
গল্পবলার কায়দা ছিল। সে এসে রোজ কোন না
কোন আবেগের গল্প বলত।আর পামেলা এক মনে
সেই গল্প শুনত।একদিন তাকে এক নিঃসন্তান
দম্পতির গল্প শোনায়।আলতাব বলে বম্বেতে সে
যে বাড়িতে রাজমিস্ত্রীর কাজ করছিল সেই বাড়ির গিন্নী পা ছাড়াই একটি মেয়ে প্রসব করেছিল।এ নিয়ে আফসোসের শেষ ছিল না সেই দম্পতির। মাত্র এক সপ্তাহ বয়সেই পঙ্গু মেয়েকে বুদ্ধ মন্দিরের পাশে রাস্তায় ফেলে দেয় নিষ্ঠুর দম্পতি।
পামেলা জানতে চাইল এরপর কি হল?
এরপর শিশুটির ঠিকানা হয় অনাথ আশ্রম।আলতাবের বন্ধু ওই আশ্রম সংস্কারের কাজ করায় জানতে পারে,জিমি ও মারিয়ান সেসর নামের নিঃসন্তান এক দম্পতি,মেয়েটিকে সেখান থেকেই দত্তক নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছে।
পামেলা বলল বিকলাঙ্গ মেয়েকে দত্তক নেওয়ার
চেয়ে না নেওয়াই ভালো।
আলতাব বলেছিল,বিকলাঙ্গ মেয়েটি বাবা মা পেল।তারা সন্তানস্নেহে বড় করেছিল সেই বিকলাঙ্গ মেয়েকে।
শোনা যায় সেই মেয়েই বড় হয়ে বিভিন্ন পোশাক নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সুপরিচিত মডেল। শুধু বিজ্ঞাপন থেকেই মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করে
ওই বিকলাঙ্গ মেয়ে। পরিবারের আর্থিক সুবিধা তো হল।
পামেলা বলে না না বাপু,আমি এইরকম সন্তান দত্তক নিতে চাই না।তবে তো আমি তোমাকে আর পাব না।
আলতাব জানতে চায় পামেলার মনের কথা।
পামেলা আলতাবকে কতটা ভালোবাসে তা জানার জন্যই বলে,তবে দুজনেই কাশ্মীর যাই চলো।
আগে হানিমুন তারপর বিয়ে?
এছাড়া আর তো উপায় দেখছি না।কেউ কিছু
জানতে পারবে না।আমরা সেখানে গিয়ে ঘরভাড়া করে সংসার পেতে নেব।
পামেলা শুনেছে,
দেশ বিদেশের মানুষকে হাতছানি দেয় ভূস্বর্গ কাশ্মীর। বছরের যেকোনো সময়ই বহু যাত্রী ভিড় জমায় কাশ্মীরে। কাশ্মীরের মধ্যে গুলমার্গ বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এশিয়ার বুকে প্রথম ও বৃহত্তম ইগলু ক্যাফে তৈরি হয়েছে গুলমার্গে।
পামেলা রাজি হয়ে যায়।
এক শীতের দিনে কাশ্মীর পৌঁছায় আলতাব ও পামেলা।
কাশ্মীরের গুলমার্গে পর্যটকদের ভিড় সারা বছরই লেগে থাকে। এখানে এসে ওরা দুজনে প্রথমে স্কি খেলায় মেতে ওঠে।পরে লক্ষ্য করে পর্যটকেদের ভিড়ে ছেয়ে ক্যাফেটি। গুলমার্গের ইগলু ক্যাফেটি চওড়ায় ২৬ ফুট ও উচ্চতায় ১৫ ফুট। একসাথে ১৬ জন অতিথি বসতে পারেন। ক্যাফের ভিতরে রয়েছে সম্পূর্ণ বরফের তৈরি চেয়ার ও টেবিল।
ক্যাফেটি করা হয়েছে একেবারে এস্কিমোদের বাসস্থানের মত। ক্যাফেটি তৈরি হয়েছে ‘কোলাহই গ্রিন গ্রুপ অফ হোটেলস অ্যান্ড রিসোর্টস’ প্রচেষ্টায়।শুধু শীতকালে বেড়াতে এলেই এই ক্যাফের দেখা পাওয়া যায়।
সাধারণত শীতপ্রধান দেশ যেমন সুইজারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, সুমেরু ও কানাডাতে ইগলু বাড়ি দেখা যায়।দুজনেই ক্যাফের ভিতর ঢুকে খুব খুশি।
পামেলা ভাবছে বরফের তৈরি চেয়ারে কীভাবে বসবে?
আলতাব ঘুরে ফিরে দেখে বলল ‘ভেড়ার চামড়া ও কম্বল পাতা আছে চেয়ারে, বসতে কোন অসুবিধাই নেই।’
বসে চা, কফি খেয়ে আরো আনন্দ করবে দুজনে।
কফি ও কিছু খাবার অর্ডার দিল তারা।পর্যটকদের মতো।
ক্যাফের ভিতরে পর্যটকদের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া
আর গল্পে মেতেছে দুজনেই। কফি পামেলার ঠোঁটে লেগে আছে দেখে আলতাব নিজের ঠোঁট
দিয়ে তা মুছে দিতে চাইছিল।এমন সময় আলতাবের ফোনটা মনে হল যেন বেজে উঠল।
ধরতে গিয়ে কেটে গেল। অচেনা নম্বর থেকে ফোনটা বেশ কয়েকবার এসেছে।
ভারতের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে ইগলু বাড়ির ভিতর তারা বসে। সকলের কাছে যা কল্পনাতীত। কিন্তু কেউ একজন এই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন। ফোনটার ওপারে কে হতে পারে ভেবে
দুজনেই তাকিয়ে দুজনের দিকে নিষ্পলকে।
ওদিকে শীতের রাতে জয় বাড়িতে ফিরে এসে দেখে বাড়ি ফাঁকা। দরজা ভেজানো রয়েছে অথচ পামেলা বাড়িতে নেই। সোফাটা সরানো এবং সেই জায়গায় একটি গর্ত দেখতে পেল।নিরাপত্তা রক্ষী হওয়ায় ভয় না পেয়ে নেমে পরে গর্তে। দেখল
এ এক সুরঙ্গপথ।এই পথে সে চলে যায় অপর এক বাসায়। সেখানে গিয়ে জানতে পারে এখানেই আলতাব থাকত। তার হদিস
না পেয়ে বাড়িওয়ালাকে ডেকে এই সুরঙ্গের
রহস্য জানতে চায়।বাড়িওয়ালা দেখে অবাক।সে
এসবের কিছুই জানত না।অবশেষে পুলিশকে তারা ব্যাপারটা জানায়।
পেরুর বাসিন্দা লিনা মেদিনা। ১৯৩৯ সালে মাত্র ৫ বছর ৭ মাস ২১ দিন বয়সে প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন লিনা! বিশ্বের কনিষ্ঠতম মা হওয়ার খবর সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়লেও কিছুই জানতেন না তিনি।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্যা সানের খবরে বলা হয়েছে, লিনার জন্ম হয়েছিল পেরুর টিক্রাপোতে। বাবা টিবুরেলো মেদিনা এবং মা ভিক্টোরিয়া লোসিয়া। লিনারা ছিলেন ৯ ভাইবোন। তবে অন্যদের তুলনায় লিনা যেন একটু তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যাচ্ছিল। তার পেট ক্রমশ বাড়তে থাকে। মা-বাবা, আত্মীয়-পরিজন থেকে চিকিৎসক সবাই প্রাথমিকভাবে ভেবেছিলেন পেটে টিউমার হয়েছে।
সানের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পিসকো হাসপাতালের চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানতে পারেন লিনার গর্ভে বড় হচ্ছে সন্তান! লিনা তখন ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা! আর লিনার বয়স তখন ৫ বছর ৭ মাস ২১ দিন। অর্থাৎ ৬ বছর হওয়ার আগেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল লিনা! চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর আগে এমন উদাহরণ ছিল না। অস্বাভাবিক এ পরিস্থিতি নিয়ে তখন বিশ্বজুড়ে চিকিৎসক মহলও টালমাটাল অবস্থায়।
এই ঘটনা সামনে আসার সঙ্গে আরও একটি বিষয় সামনে এসেছিল। লিনার ওপর হওয়া যৌন হেনস্থার বিষয়। ছোট্ট লিনার সন্তানের বাবা কে তা নিয়েও তদন্ত শুরু হয়। এ ঘটনায় তার বাবাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ না মেলায় ছেড়েও দেওয়া হয়।
অস্ত্রোপচার করে লিনার প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। নাম রাখা হয় গেরার্ডো। যে চিকিৎসক তার অস্ত্রোপচার করেছিলেন তারই নামানুসারে। জন্মের সময় সন্তানের ওজন ছিল ২ কিলোগ্রাম ৭০০ গ্রাম। অর্থাৎ স্বাভাবিক ওজন নিয়ে সব দিক দিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ সন্তানের জন্ম দিয়েছিল ছোট্ট লিনা।
তার ছেলে গেরার্ডোর কাছে লিনার পরিচয় ছিল বড় বোন। গেরার্ডো তার সঙ্গে সেভাবেই আচরণ করতেন। সারা দিন ‘বোনের’র সঙ্গে খেলাধুলো করে, কখনও বা লড়াই করে দিন কেটে যেত। ১০ বছর বয়স হলে গেরার্ডো জানতে পারে লিনা আসলে তার মা।
লিনাকে নিয়ে চিকিৎসক মহলে নানা গবেষণা চলেছে। লা প্রেসি মেডিকেল জার্নালে তাকে নিয়ে বিস্তর প্রচ্ছদ প্রকাশিত হয়। তাতে জানা যায়, ৮ মাস বয়স থেকেই ঋতুস্রাব শুরু হয়েছিল তার। অর্থাৎ তখন থেকেই প্রজননশীল হয়ে পড়েছিল সে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে বলা হয় প্রিকসিয়াস পিউবার্টি। অর্থাৎ সময়ের অনেক আগেই প্রজনন ক্ষমতা প্রাপ্ত হওয়া। মস্তিষ্কের যে অংশ থেকে যৌন হরমোন নিঃসৃত হয়, সেই অংশেরই কিছু সমস্যার কারণে এমনটি ঘটে থাকে। যা বিরলতম ঘটনা।
পরবর্তীকালে তার চিকিৎসক গেরার্ডো লোজাডার ক্লিনিকেই তিনি সেক্রেটারির কাজ করতেন। উপার্জনের টাকায় ছেলেকে পড়াশোনা শিখিয়ে বড়ও করেন লিনা। কিন্তু নিজের পরিস্থিতি নিয়ে ঘনিষ্ঠ বৃত্ত ছাড়া কারও সঙ্গেই আলোচনা করেননি তিনি।
১৯৭০ সালে বিয়ে করেন লিনা। দু’বছর পর তার দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয়। আর প্রথম সন্তান গেরার্ডো ১৯৭৯ সালে মাত্র ৪০ বছর বয়সে অস্থিমজ্জা সংক্রান্ত রোগে মারা যান।
লিনার বয়স এখন ৮৭ বছর। পেরুতেই থাকেন তিনি। আজও তাকে তাড়া করে বেড়ান সাংবাদিকরা। কিন্তু প্রথম থেকেই একটি বিষয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছেন তিনি। এই নিয়ে কখনও কোনও সাক্ষাৎকার তিনি দেননি। পুরা ঘটনাটি আজও রহস্যই থেকে গেছে।