মনের ক্যানভাসে যৌবনের আঁকা নানান স্মৃতি হঠাৎ
আমন্ত্রণ করে বসে—
জীবন তো সামনের মাইলস্টোন ছুঁয়ে উন্নতির শিখরে এগিয়ে চলেছে।।
পুরাতনকে জাগাতে গেলে ঘটা করে আমন্ত্রণ করতে হয়।
মনের খসখস পাতাগুলো তে কত সুখের কাহিনী আছে,
কত সুখের মুহূর্ত আছে,
আছে কত যে না পাওয়া
যন্ত্রণা।
তিন কন্যা সন্তানের দায়িত্ব কর্তব্য পালন করতে করতে নাজেহাল
তখন একাকিত্ব আমন্ত্রণ করে বলে দেখ তোর অতীত রঙিন চিত্র।
ঐ রঙিন এখন যে সাদা _
ধীরে ধীরে স্মৃতি পিছনে হাঁটতে থাকে _
অবশেষে স্পর্শ করে স্মৃতির কুলঙ্গীতে থাকা সোহাগ মাখানো দিনগুলি।
যে দিনগুলি তড়তড় করে এগিয়ে গেছিল সাংসারিক কর্মে–
তারপর অতীত স্মৃতিচারণ আর আমন্ত্রণের আশায় থাকে না
তড়তড় করে ফোঁকলা দাঁতে বিনা আমন্ত্রণে পিছে চলতে থাকে–
মন খিলখিল করে হাসতে থাকে
কোনো খেলায় মজা পেয়েছে হয়ত
কত জমা কথা তুলি দিয়ে জল রঙ করে মনমন্দিরে―
টুকরো টুকরো মেঘ ছবি আঁকে নীলাকাশের বুকে―
কিছু কুয়াশার চুপকথা উঁকি দেয় মানস পটে―
মনে আসে শত শত মনময়ূরীর মেঘের পালক
নীলাকাশের নীচে ঝরা পাতার খসখস শব্দ
মরা তারাটা ফিসফিসিয়ে কি যেন বলে
জোনাকিরা হাতছানি দিয়ে কেবল ডাকে
মনের চুপকথারা মিটি মিটি হাসতে হাসতে চমকে ওঠে, আবার যে আমন্ত্রণ এসেছে তবে একেবারে সোজা উপরে যাবার।