মুদ্রিত কবিতার মধ্যবর্তী পঙক্তির তলদেশ থেকে
বেরিয়ে এলো শীর্ণ হিম শীতল শব্দের রাত ।
বলল —
বহুকাল হলো কবি পাঠক উভয়েই ভুলে গেছে ।
এক তুলোক্ষেত ওম এনে দাও ,
বড্ড শীত করছে ।
রাত বেরিয়ে আসতেই গনগনে সূর্যটা
দপ্ করে নিভে গেছে !
বললাম– এক চবুতারা কপোতীর চঞ্চুপুট
উপমার উষ্ণতা দিয়ে তোমাকে শুশ্রূষা দিচ্ছি ।
চলো এই মিশকালো অন্ধকারে কবিতার কাছে যাই ।
রাত বলল– অন্ধকারে যাবে কি করে ?
বললাম– আস্ত শিমূলবনে জোনাকিরা বসে আছে ,
তাদের ডাকছি ।
কবিতার কাছাকাছি যেতেই দেখি ,
হাজারো কবিতার মুমূর্ষু মিছিল শুয়ে আছে !
লাখো লাখো শব্দের গায়ে কোটি কোটি
গুটিপোকা কিলবিল করছে !
প্রধান কবিতা ফিসফিস করে বলল–
দেখছো কি ?
এ এক ভিন্ন কবিতার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ।
আমরা সবাই ভুলে যাওয়া অজানিত কবিদের
অপঠিত কবিতার পঙক্তি আর শব্দের রূপ ।
শুধু প্রচার যন্ত্রের কাছে সময়ে পৌঁছোতে পারিনি !
অনন্তর , আমারই দাহ্য- হাড় শব্দবন্ধের প্রদীপ
জ্বালিয়ে নিভে যাওয়া সূর্যের কাছে নতজানু হয়ে,
এক স্বপ্নিল রঙ্গণ ভোরের প্রার্থনা শেষে
ফের অ-লেখা কবিতার পথে নামলাম ।