তুমিই থাকবে,আমি হয়তো না,
জানালায় সারি-সারি অশরীরী প্রেতাত্মার মুখ
এক অর্বাচীন জিঘাংসায় খেপে উঠেছে।
এত ক্ষোভ হয়তো-একশতকের-নয়।
গৃহস্থের স্বামী হাঙ্গর মুখো শুধু গিলতে চায়,
দেহের গন্ধ নেশা ধরায় ধমনীতে, হাঁড়িতে রেখেছে তীব্র রাগ।
উনুনের আগুনে এসো একবার সেঁকে নিই এ দেহ,
নারী তো জানে অক্ষমতায় জরাজীর্ণ দীর্ঘশ্বাস।
পদচারণায় জেগে ওঠে উন্মত্ত হিটলার,
অদৃশ্য গ্যাস চেম্বারে রুদ্ধশ্বাসে আমি।
দয়াহীন ,মায়াহীন নিষ্ঠুর সময়ের আবর্তন
তবে কার কাছে যাই বলো ,নির্ঝরের সান্ত্বনায় ?
সারি-সারি মৃত্যুর জানালা খুলছে দমকা হাওয়ায়,
বাইরে লালাঝরা মুখে শকুনের অতৃপ্ত কলধ্বনি ।
এ চক্রবুহে এবার আমার বুকপাতার সময় হয়েছে-
ক্ষুদার্থ কালিদাস অন্তত নিশ্চিন্তে রোদ পোয়াক।