চোখে এঁকেছিলাম এক সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন,
তাকে বাস্তবের মাটিতে রূপায়িত করার জন্য,
করে গেছি ত্রুটিহীন যত্ন।
তবু তা দিল না ধরা,
যা ছিল মনের মাঝে সযত্নে লালন করা;
এক রূপকথার পৃথিবী ,
বাস্তবের কষাঘাতে আজ তা হলদেটে বিবর্ণ পান্ডুলিপি,
যা এক সারবত্তা হীন সৃষ্টির দলিল।
জানি সব ছেড়ে পরদেশী হব একদিন,
তার আগে মেটাতে চাই ,জীবনের সব ঋণ-
স্বপ্নের ক্যানভাসে এঁকেছিলাম ছবি যতো,
বাস্তবের মাটিতে তা প্রতিহিংসার বিজ্ঞাপনে রত,
দূর্ভাগা জীবনের, জমাট বাঁধা অন্ধকার কে –
বয়ে চলি কলুর বলদের মতো:
ভাবি সময় কে ধরেছি দুই হাতের মুঠোয়,
দূর থেকে সব দেখে মহাকাল,
ধীরে ধীরে গুটিয়ে নিতে থাকে জীবন জাল।
সময়ের বালু ঘড়ি, জানান দিয়ে যায়,
আত্মহারা সকালের শেষে,
বিষন্ন বিকাল ঘনায়,
যা কিছু আঁকড়ে আছো , প্রানপন
আত্মার আমিকে করেছো বিস্বরণ,
দিনশেষে নিস্তব্ধ, একাকী দাঁড়িয়ে তুমি,
চারিপাশে দিগন্ত বিস্তৃত,
হলাহলের গরল আচ্ছন্ন বেলাভুমি-
তারপর আসে সেই মহেন্দ্রক্ষণ;
যখন,
চরম তৃপ্তিতে মৃত্যুদুত কপাল নেয় চুমি,
অন্তহীন ভালোবাসার তৃষ্ণা নিয়ে,
দুই চোখের পাতায়, ঘুমের কাজল যায় মিশে,
যাত্রার হয় শুরু , চির শান্তির দেশে! !
অবশেষে।।