শীতের পরশ যেইনা লাগলো গা’য়,
মনে আমার যায়গো পড়ে,মা তোমায়।
শীতে জুবুথুবু হতাম যখন আমি,
আদর-সোহাগেতে জড়িয়ে নিতে তুমি।
নকশিকাঁথা দিতে আমার গা’য়ে চাপা,
ও বাবারে!সে কি ওম! যায়নাকো মাপা।
পিঠে—-পুলির রীতি—শীতের মরশুমে,
তুমি করতে পিঠে—আমি তখন ঘুমে।
নতুন ধান কোটা, ঢেঁকিতে দিয়ে পাড়,
মিষ্টি ছন্দে বিভোর হতো মন আমার।
চালের গুড়িতে–উঠোন জুড়ে আল্পনা,
তা, দেখে আহ্লাদে নাচতো পরাণখানা।
চন্দ্রপুলি–,গোকুল পিঠে—-,কদমফুল,
কতো কি করতে তুমি,–স্বাদেতে অতুল ।
শীতের ভয়ে চান করতে—বড্ড ভয়
আলতো চুমো দিতে–,ভয়ের পরাজয়,!
শীতসকালে মিষ্টি সোনারোদের আলো ,
ছুটে যেতাম উঠোনেতে– লাগতো ভালো ।
ভাইবোনেরা বসতাম —–উঠোন জুড়ে,
তিলের নাড়ু সবার মুখে দিতে পুরে।
শীতের মায়াবী সন্ধ্যা–আসে গুটিগুটি,
সিঙ্গারা বানাতে মা!, দিয়ে মটরশুঁটি।
গোলহয়ে পড়ছি স’বে–, মাঝে লন্ঠন
কাজের ফাঁকে—দৃষ্টি রাখতে সারাক্ষণ,।
রাত্তিরে— শীতবুড়িটা লাঠি ঠুকেঠুকে,
বেজায় কামড় দিতো— সারা অঙ্গে-বুকে।
ঠিক তখুনি ,মোটা লেপ দিতে চাপিয়ে ,
আজ মা,বড্ড শীত! কোথা রইলে গিয়ে ?
শীত আর তুমি মাগো আলাদা তো নও,
একথা সত্য কিনা—–একটিবার কও।
কালের ভেলায় চড়ে— যেথা তুমি গেছো,
শীতের সাথে অনুভবে ,মা তুমি আছো !
শীতকে ভালবাসি ,শীত স্মৃতির সাথী,
অনুভবে তোমার পরশে—- কাটে রাতি।
আজ তুমি মাগো! নীলগগনের প’রে,
নকশিকাঁথা র’য়ে গেছে—-স্মৃতির চ’রে।