এ কথা কে না জানে যে
প্রতিটি মানুষের মনের ভেতরে লুকিয়ে থাকে
অবচেতনে আরও একটি মন
অস্থিরতা ক্রমশঃ তীব্র হলে বিচলিত মন
যখন সংশয়ে আত্ম সমর্পণ করে
যখন হাত তুলে দেয় অবশেষে
ছুটে এসে হাল ধরে তখন ওই অবচেতন মন
পথের বাঁকে দাঁড়িয়ে মানুষ যখন আত্মপ্রত্যয়ে
মুষ্ঠিবদ্ধ হাতটি শূন্যে ছুঁড়ে দেয়
সবার অলক্ষ্যে যখন সময়ের উথালপাতাল
অবগাহন আর স্পর্শকাতর মুহূর্ত
আর তারই এলোমেলো হাওয়া চারপাশে
তখন দুটি মনই একসাথে অসম্ভব দুলে দুলে ওঠে
আর পথ জুড়ে উথলে ওঠে আরও দীর্ঘ পথ
দীর্ঘ পথের বুকে নামে মেঘ ভাঙা রোদ্দুর
এবং দু’চোখ ভরে জীবনের বিস্ময়কর স্বপ্ন
এই সব চলতে থাকলে বুকের ভেতর মুগ্ধতা জমে
নৈঃশব্দ্যে জ্বলে ওঠে আলোর রোশনাই
মনে মনে তখন খুব সংশয়ে থাকতে হয় এই ভেবে যে
ভেতরের দু দুটি মন কে কিভাবে নেবে সব শিহরণ
সংশয়ে থাকতেই হয় দু দুটি মনের কার মানসিকতায়
কার চেয়ে কে কতটা শ্রেয় এই ভেবে
এভাবেই কথার আলাপে গড়িয়ে যায় দিন
দু’চোখে ঘন ঘন পলক পড়ে
আর সম্ভাব্য সিদ্ধান্তের সম্ভাবনার জন্য
অপেক্ষা করতেই হয়
যে অপেক্ষার মধ্যে পলকে পলকে ঝরে পড়ে
প্রশ্নচিহ্নের মতো তীব্র সংশয় মুহূর্ত তবুও .. ।