একলব্য দ্রোণাচার্য সমীপে যায় অস্ত্র শিক্ষা তরে
পরিচয় জেনে দ্রোণ অস্বীকার করে।
ফিরে আসে একলব্য ব্যথিত অন্তরে
পরিচয় বুনো তার জঙ্গল ভিতরে।
হিরণ্যধনুর পুত্র একলব্য নাম
বনের ভিতরে করে অস্ত্রশিক্ষা কাম।
দ্রোণ কেই গুরু মেনে তার মূর্তি গড়ি
অস্ত্র চর্চা করে সেথা অতি নিষ্ঠা ভরি।
মনোযোগ টলে সারমেয় চীৎকারে
স্তব্ধ বাণ মারে যাতে চীৎকার না করে।
মুখে বাণ বিদ্ধ হয়ে সারমেয় যায়
সে অবস্থায় দ্রোণ শিষ্য দেখিবারে পায়।
এমন অবাক বাণ তাদের অচেনা
সেই শিক্ষা চেয়ে করে গুরুর বন্দনা।
দ্রোণাচার্য অবশেষে অবাক দক্ষিণা চান
সে কাহিনী শুনে সবে চমকিত প্রাণ।
গুরু প্রিয় পাত্র করে সর্ব শিক্ষা লাভ
একান্তে যে গুরু ভজে তার হয় ইষ্ট লাভ।
উত্তম দক্ষিণা পেয়ে গুরু খুশী হন
ধনপতির সন্তানেরা তাই উত্তম ফল পান।
কে পাবে সর্বোচ্চ স্থান কে কেবলই পাশ
গুরু হেসে কেশে বলে ভাগ্যের পরিহাস।
কে প্রথম কে বা ফেল সবই গুরু জানে
কোটি পতির সন্তানেরা কড়ি দেয় দানে।
তত্ত্বজ্ঞানী চিরকালই করে অন্বেষণ
পোষণ আর তোষণে হয় স্থান নির্ধারণ।
শিক্ষক দরিদ্র লোভী হাত পেতে চায়
অচল সংসারে চাওয়া অন্যায় তো নয়।
দেশে দেশে লোভী গুরু অন্যায় প্রশ্রয় দেন
সংসারে কলঙ্ক রটে দেশ ধ্বংস করে দেন।
কেউ খোলেন কোচিং সেন্টার প্রশ্ন বলে দেন
অর্থ পেলে ঠিক সময়ে উত্তর ও যোগান।
চাকরির পরীক্ষা হোক স্কুল বা কলেজ
ডামি প্রার্থী পরীক্ষা দেয় পোড়ায় বিবেক।
একলব্যের শিক্ষায় গুরু চমকিত হয়
সে যে বীর শ্রেষ্ঠ হবে নাহিক সংশয়।
বৃদ্ধাঙ্গুলি চেয়ে নেয় গুরুদক্ষিণা
ত্রেতাযুগের মহাভারত লজ্জা পেল কি না??