যেদিন হারিয়ে গিয়েছ হে কবি গভীর অন্ধকারে
২২শে শ্রাবণ অশ্রু ঝরানো দিন,
অবাক পৃথিবী স্তম্ভিত সেই থেকে
কবিতা ও গানে বাঙালির চির ঋণ।
শ্রাবণের ধারা ভাসিয়ে ছিলো নয়ন
স্তব্ধ হলো কি কালের কন্ঠস্বর,
জগত সভার শ্রেষ্ঠ পুরস্কার
সে ছিলো দেশের গর্ব করার দিন।
বাদলের গানে মেঘমল্লার বাজে
ভৈরবী এসে বাজালো বিদায় সুর,
বহুদূর হতে দেবদূত এসেছিলো
শুনবে তোমার গান অতি সুমধুর।
একি হলো কবি শ্রাবণে বিদায় নিলে
বর্ষার গান অতি প্রিয় যে সবার
তুমি ও কি তাই বর্ষাই বেছে নিলে
বিহান বেলায় সুর ভাসে দুর্বার।
যে হারায় তাকে আবার কি পাওয়া যায়
হারিয়ে যে যায় তারা হয়ে যায় বুঝি
কবিতায় গানে দেবসভা আমোদিত
আমরা তোমাকে মাটির ধরায় খুঁজি।
জাগে না কেন যে জাগে না অবশ প্রাণ
হে কবি শোনাও অমৃত লোকের গান,
আকাশের চাঁদ তারা আজও পাতে কান
তোমার গান আজও অমৃত সমান।
চরণ ধ্বনি শোনার ইচ্ছা মনে
পুজিব চরণে হৃদয় মাল্য দানে,
তৃষাতুর আঁখি আজও চায় পথপানে
এই এলে ভাবি আপ্লুত হয়ে যাই।
শূন্য হাতেই ফিরি কবি পথে পথে
দুঃখে ও সুখে আনন্দে বিষাদে গাই,
তোমার গানেই তোমার পূজা সারি
২২ শে শ্রাবণে অস্তমিত রবি নাই।।