পাঁজরে পায়ের জোর কতটা হারালে
বহুকোষী পদাতিক সত্তাহীন পরজীবী হয় !
পৃথিবীর আফিম অ-সভ্যতা শুঁকে বিস্মিত
হতে ভুলে যায় আদিম জীবাণু সভ্যতা ।
এ কোন নিশির ডাকে গুরু ঘোড়া রোগে
মর্গে এসে মৃত্যু মুখ মাখে
পূণ্য -রণক্ষেত্রের পরাজিত নেশারুর মেদ !
হড়কা ভক্তির বিষ বাণ , মুক্তি নয়
প্রতিযোগী পূণ্যার্থীর পতন রক্ত চেটে খায় ।
তন্ত্র ফাঁদের এ গৃহযুদ্ধে লাখো লাখো
রক্ত ঋণ বোঝা বেড়ে বেড়ে এক মানচিত্র নোনা নর্দমা ।
অ-ধর্মের বেবাক কবরে শুয়ে পচে চলে শতাব্দীর লাশ ।
মিরাক্যালে অবিশ্বাসী প্রকৃতি পরমা ,
তুলে নাও পতঙ্গ পোড়া এই সম্মোহনী ধোঁয়া
আর স্বেচ্ছা আঁধারে গড়া অক্ষৌহিণী প্রশ্ন শূন্য চোখ ।
চৈতন্যের ভক্তি বানে মিছিল মিশেছে মানুষের মহা মোহনায়
লালনের মন খোঁজে মনের পাখির শিস মানব বাগানে
কবীরের দোঁহা কাঁদে পাগলের ঢেউ এ
— বুঝিয়ে বুজিয়ে ফাঁক জুড়ে জুড়ে দে রে !