প্রথমে নারকেলের গায়ে পড়ে, তারপর পাতায় ছিটকে
কয়েকটা বিভাগে আছড়ে পড়েছিল
আশ্চর্য আকারে, গাঢ়, প্রকৃতি তখন
গাছের তলায় একটি লোক হয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিল
মাথায় উজ্জ্বল টাক— পড়ল সেখানে
চঞ্চল চৌচির হয়ে ফেটে গেল রশ্মিগুলো
যে অসংখ্য বর্ণ তখন ছড়িয়ে পড়ছে জগতে
তার থেকে একটি জলে গিয়ে, ভিজে
জলের তলায় নেমে গেল
আর সে কী সঞ্চার লাগাল মাছেরা, ঢেউ
তোলপাড়, গুল্ম আলোড়িত।
সময় কি লতা, রং, ছায়া, ফিসফিস সব জড়ো হয়ে তৈরি
হয় দিন।
এদের প্রত্যেকে
একে অন্যে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে আকর্ষণ করে
হুড়হুড় করে প্রবেশ করছে পৃথিবীতে
শুষে নিচ্ছে
বর্ণ ছায়া
ছায়া মর্মরকে
আর মর্মর, ফস্কে পালিয়ে যেতে গিয়ে জঙ্গলে আটকে যায়
একটা বিরাট ইস্পাতের প্লেট, চকচকে
ঠিক ইস্পাতের নয়, বিভূতির
এসে পড়ছে সেখানে সবশেষে, আর
আমি সেই লোভে ঘুম থেকে উঠে পড়ি
আর ভাবি— বাড়িটির পাশ দিয়ে, কুকুরের চেন ধরে
আমি চলে গিয়েছিলাম সকালে।