যেকোনো পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেওয়াটা নাকি বড়ো শিক্ষা,
তাই দুই হাতে বেশ অনেকটা সাহস তুলে নিয়ে
প্রসন্ন চিত্তে এগিয়ে চলি মৃতদের ভিড়ে,
খুঁজে বেড়াই জীবনের মানে।
জীবন মৃত্যুর মাঝে অদৃশ্য সেতু হয়ে ঝুলে থাকা
অস্তিত্বের নাভিমূলে আমার কাতরতা
ক্ষুধার্ত হায়নার মত চিৎকার দিয়ে উঠে।
সে জানতে চায়,
বারংবার সে প্রশ্নের উত্তরটা জানতে চায়,,,
সন্ত্রাসবাদীদের লালায়িত জিহ্বা ফাঁকি দিয়ে কতবার,
আর কতবার মৃত্যুর বিদ্রোহী চুম্বনে সাড়া দিতে হবে ?
জ্বলন্ত বিস্ফোরণের অস্থায়ী ডাকবাক্সে বন্দী হতে হবে বলো কতবার ?
ভেবেছিলাম, লালচন্দন কাঠের স্মারকে দীর্ঘ বিশ্রাম দিয়ে
শুরু হবে অবকাশ যাপন,
তারপর শুরু হবে অস্তিত্ব সংকটের জবানবন্দি।
নির্মম মৃত্যুর রসায়ন আয়ত্ত্ব করুক প্রতিটি মাংসপিণ্ড,
আর সর্বহারা দুঃখে কাঁদুক দিনভর
মানবতাবাদী কিছু অস্থায়ী প্রণয়।