সহস্র বছর পেরিয়ে এসে-
দেখি এ কোন সকাল?
তমিস্রাবৃত,ধূসর, বিবর্ণ
মায়াহীন –
জঠর জ্বালায় ক্ষত-বিক্ষত
মনুষ্য আকৃতির দুপেয়ে অবলা জীব।
সূর্যোস্নাত কিছু বিষমাখা বিক্ষুব্ধ
ত্রাণযাঁচে দুর্নিবার। অসহায়-
দুমুঠি ঊর্ধবাহু অনর্গল কান্নায় ডুবে অনন্তকাল।
নিরাভরণ ,পীড়িত – নগ্নতায় দোল খায় , যেন এক উচ্ছিষ্ট জীবন !
প্রাত্যহিক , অযাচিত নির্মম খোলস ছাড়ায় অপরিপূর্ণতার অনুতাপে।
ব্যথাতুরা নিখিল আকাশ,
বিষাক্ত নির্মম বাতাস ,
কার দোষ খোঁজে নিপীড়িত, অনাহুত,অবাঞ্চিত দুর্গন্ধ শবাধার ?
ঘৃণার স্রোতে ভেসে যায় –
অভিশপ্ত গর্ভের নিস্কলঙ্ক আধার।
সহস্র বছরের কঠোর সাধনা ,
কৃচ্চসাধনের এ ভয়াভয় প্রতিফলন-
বল, বল কে চেয়েছে অসহনীয় –
সংক্রামিত এ অভিশপ্ত সকাল ?