অপেক্ষা বারোটা বছরের-
ছিল শুধুই অন্ধকার,
ছিল বিক্ষোভ, ছিল টিপ্পনি, গালিগালাজ,
ছিল হারের যন্ত্রনা; ছিল বেহিসেবি খেলোয়াড় নিয়োগ,
ততোধিক নিচুমানের খেলা।
এবার এলো সেই সন্ধিক্ষণ
যেখানে মিলেছে গঙ্গা গোদাবরীর জল
তেল জল মিলিয়ে দিলেন এক জাদুকর
তার জিয়ন কাঠির ছোঁয়ায়।
হারের যন্ত্রনা ভুলতে শুরু
ডুরান্ড কাপের প্রথম ডার্বি থেকে
ফাইনালে হেরে গিয়ে আবার যন্ত্রনাবিদ্ধ
ধীরে ধীরে দলকে জয়ের সারনিতে ফিরিয়ে
ফাঁক ফোকর মেরামত করে
খেলোয়াড়দের মধ্যে জয়ের প্রেরণা ঢুকিয়ে
তুলে নিলে সুপার কাপ
অনবদ্য ফাইনাল খেলে।
নেই কোন নামি দামী খেলোয়াড়,
নিয়ে এলে জর্ডন থেকে হিজাজী মাহের
জনগনের ভালোবাসায়, আজ সে সেরা ডিফেন্ডার ।
মহেশকে করলে আরও ঝকঝকে
নন্দ যেন আগুনের গোলা, সৌভিকও যে তাই।
মাঝমাঠের খেলা থাকে সল ক্রেসপোর পায়ে
গোলের নীচে প্রভসুখন এখন অপ্রতিরোধ্য
টীমগেমটাই মূল কথা, অন্য কিছুই নাই।
হার না মানা মানসিকতার জয় –
হলোই শেষ পর্যন্ত।
তোমার গেমপ্লান, তোমার স্ট্রাটেজি
সবটাই তুমি জানো
তাইতো তুমি জাদুকর, ওগো কুয়াদ্রাত।
একশো চার বছরের ক্লাবকে দিলে
ভারতসেরার স্বীকৃতি।
লাল হলুদ স্বপ্ন দেখছে, নতুন করে আবার
স্বপ্নের বাগানে ফুল ফোটাও
ওগো কুয়াদ্রাত স্যর ।।