একটা সোনার হরিণ কেবল ছুটিয়ে নিয়ে যায়!
নিঝুম অরণ্য জুড়ে কেবল ছুটে চলি..
তপ্ত দুপুরে সে লুকিয়ে পড়ে অদেখা ঝোপে জঙ্গলে..
তারপর ক্ষণিক দেখা দিয়ে শীতল রাতে সে মিলিয়ে যায় অধরা কুয়াশায়!
আমার শরীর জুড়ে নেমে আসে ক্লান্তি –
তবু অধরাকে ধরার কী তীব্র আকাঙ্খা
ক্লান্তির লেশমাত্র নেই মনে…
তার চাওয়া দুর্নিবার…অন্তহীন!
শরীর সঙ্গ ছাড়তে চায় বারবার –
স্বঘোষিত ছুটির চাহিদায় ঘোষণা করে বিদ্রোহ
কিন্তু মন ? বড়ো নির্বোধ..বড় অসহায় সে!
অবুঝ শিশুর মতো ছুটতে থাকে কেবল ছুটতে থাকে!
হৃদয়ে তুফান ছোটে.. তছনছ হয় গাছপালা.. আছড়ে পড়ে ঢেউ.. উথালপাথাল তরঙ্গ বৃথা মাথা কোটে নিষ্ঠুর পাথরের বুকে।
শ্বাসরুদ্ধ সময়ের শিলালিপি লেখা হয় নোনাজলের ধারায় স্বেচ্ছায় নির্বাসন নেওয়া সুদূর গুহায়…নিষ্প্রাণ চুনাপাথরের বুকে..।