চারিদিকে দুশমন
হৃদয় মন ভাঙছে ওরা, সবই হচ্ছে খান খান
দেখছি চারিদিকে দুশমন
কি করে ভালো থাকি এখন ?
টুকি মেরে উঁকি দেয় শালারা রক্তচোষার দল
মানুষ মেরে আনন্দ পায়, উল্লাসে করে কোলাহল
আমি নির্বাক পৃথিবীর কাছে নালিশ জানাই
এই চ্ছেচ্ছর মার্কা দানব গুলোকে ধিক্কার জানাই
পেটে লাথি মারলো ওরা আজ আমার এই অসহায় জীবনে
করবো না ক্ষমা আমি ওদের কখনো জীবনে ও মরণে
ওদেরকে দেখেছিলাম এতদিন, চিনতে পারিনি
মুখের ওপরে মুখোসে ছিল, গভীর নয়নে তা জানিনি
যতক্ষণ জীবন আছে এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে যাবো
যতক্ষণ প্রাণ আছে এদের মুখোশ কবিতায় তুলে ধরব
চাতুরতার সাগরে ভাসতে ভাসতে এরা মূর্খদের শক্তির কথা ভুলে গেছে
মূর্খদেরও যে একটা জ্ঞানচক্ষু আছে সে কথাও এরা ভুলে গেছে
আমি আরো একবার এদের প্রমাণ করিয়ে দিতে চাই
আমি আরো একবার এদেরকে মনে করিয়ে দিতে চাই
আমি সেই মরণ কূপের থেকে মুক্তি পাওয়া বিদ্রোহী কবি ভাই
আমি সেই গণ আক্রমণের শিকার হয়েও পরিত্রাণ খুঁজতে চাওয়া
মাঠের মাঝে একা ছুটতে ছুটতে বহু পথ ঘুরতে ঘুরতে; ঘুরতে থাকা আলোর রোশনাই।
আমি অনাহারে পড়ে থাকলেও আমার কোন মৃত্যু নাই
আমি অনগ্রসর প্রজাতির আমৃত্যু চেতনার মুক্তির নিশানা টাঙ্গাই
এপারের ওপারের সকলেরই আমি কবি তাই
এখন দিচ্ছ দাও;যত পারো গালি দাও, আরো কিছু পিঠে বোঝা চাপিয়ে দাও
তবুও তো থাকবো আমি বেঁচে এ কথা জেনে যাও।
বানিয়ে যাও বানিয়ে যাও, আমায় আরো অপরাধী বানিয়ে যাও
আর যত খুশি পারো আমাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাও
কথা দিচ্ছি এত কিছুর পরেও বেঁচে থাকব এ কথা জেনে যাও
হে আমার দুশমন পৃথিবী, হে আমার ঘুমিয়ে থাকা জনজাগরণ
আমি আমৃত্যু বিদ্রোহ, আমার নেই মরণ
আমি চিরকালের চির জাগরণ,
আমি ;আমি ;আমি ;আমি তোমাদেরই শিহরণ
ভালো লাগে না; ভালো লাগে না;
ভালো লাগে না; এই নৃত্য অসন্তুষ্টি যাপন
শালাদের ভেবেছিলাম আত্মীয়, ভেবেছিলাম আপন।