হিরণ্যকশিপুর ভগিনী ছিলেন রাক্ষসী হোলিকা,
শিশু মাংস প্রিয় ছিল তাঁর, হোক সে বালক-বালিকা।
বর প্রাপ্ত ছিলেন তিনি অগ্নি ছোঁবে না তাঁকে,
পুড়িয়ে বধ করতে চাইলেন ভাইপো শিশু প্রহ্লাদকে।
ছলনা করে প্রবেশ করেন জ্বলন্ত চাঁচরে,
অক্ষত থাকেন প্রহ্লাদ,অগ্নি পোড়ান তাঁরে।
ভগবান বিষ্ণুর পরমভক্ত শিশু প্রহ্লাদ দৈত্যকুলে,
রাক্ষসী হোলিকা তাই পুড়ে মরেন ওই আগুনে জ্বলে।
দিক-দিগন্তে রটিল বার্তা পৌঁছালো ঘরে ঘরে,
আনন্দে সবাই আত্মহারা, প্রহ্লাদকে স্মরণ করে।
সকল শিশু আনন্দে দোল খেলে হয়ে দিশাহারা,
আনন্দের রং বয়ে আনে বসন্তের শেষ বেলা।
রোগজীবাণু, অধর্ম সব পোড়ে হোলিকার সনে;
নানান রঙের আনন্দ যেন ধরা দেয় সবার মনে।