উড়লো বটে ঐ চাঁদিয়াল
বগ্গাকে টপকে
অরিন কবি ভোকাট্টা গো
হঠাৎ সে চমকে!
চলছিলো বাসেই বটে
ফাঁকা বাসের সিটে
শ্রীগোবিন্দ দিলেন বটে
সে আনন্দ মিটে!
ওভারটেক করতে গিয়ে
ধাক্কা ডিভাইডারে
প্রাণ নিলো হায় পাশের সিটের
যুবকটিরই ওরে
বর্ষারই এক ফলার মতন
রাস্তাতে তার মাথা
ফেটে চৌচির হায় হলো তায়
তরমুজেরই যথা!
সে যে কি এক বিশাল ট্রমা
কবির ভাষা নাই
কাঁপতে থাকে অরিন কবি
থরথরিয়ে তাই!
কবিও সে গড়িয়ে গেলেন
কুমড়ো গড়ান ধাতে
সিটটা বেঁকে গিয়ে শেষে
গুঁতোয় যে পিঠটাতে!
যন্ত্রণা চরমে যখন
উঠতে সে কই পারে?
পুলিশ নিলো আর. জি. করে
চ্যাং – দোলা ঠ্যাং ধরে
আটজন সহযাত্রী ছিলেন
হাসপাতালে সাত,
সকলেই বলতে গেলে
পুরোই কুপোকাত!
কবি কি আর নড়তে পারে
সরলেই গাঁক গাঁক –
মুখ থেকে তার বেরিয়ে আসে
ত্রাহি মধু ডাক!
সাথে হায় কেউ নেই তাই
ভাবছে কী বা করি
পুলিশ তখন রূপ নিলো গো
দয়াময় শ্রীহরি!
দিলো কিনে ঠান্ডা জল আর
বিস্কুট খান চার
পুলিশের এ দয়ায় যে হায়
অভ্যাস সে কার?
কাগজপত্র সই করানো
কবির অনুরোধে
গিন্নি কানে এমন খবর
পৌঁছানো প্রবোধে –
ততক্ষণে এক্স রে হলো
শেষ যে সিটি স্ক্যান
ডাক্তার সেও লিখে দিলেন
ডিসচার্জের প্ল্যান!
হরে দরে হাড় ভাঙেনি
ঘিলুটি অক্ষত
হয়নি কবির রক্তক্ষরণ
সেরিব্রালের মত!
কিছু তো মাসুল কবিরে
দিতেই হলো তবে,
স্নায়ুরই রাম ব্যাথার চোটে
ছাড়তে হবে ভবে?
পিঠের ওই বিষম ব্যাথা
বুকের মাঝে চাপ
প্রাণটা বুঝি যায় বেরিয়ে
নড়লে বাপ – রে – বাপ!
দিলো বটে ব্যাথার ওষুধ
জ্বরের বটেও তা
ক্যালপল এক হাজার বটে
তিনবার তো খা!
পুলিশ সে যে নিলো ছুটি
গিন্নিকে তার দেখে
শ্যালিকারই পুত্র কবির
এলোই, না রাখ ঢেকে
রিপোর্টখানা নিয়েই বটে
অ্যাপ ক্যাবেতে বাড়ি
হাসপাতালে সাঙ্গ পালা
দিলই তারা ছাড়ি!
সাঁঝে এসে ঘরে ফিরে
বুঝলেন কী গেরো
নড়াচড়া যায়না করা
মুভমেন্টে জিরো!
অতএব অরিন কবি
হায় বটে ভোকাট্টা
বর্তমানে বিছানায় স্টিল
আঠা দিয়েই সাঁটা।
চাঁদিয়ালই জিতলো বটে
এক বগ্গার হার
দেখা যাক হে কতদিনে
করে কবি বগ্গা রিকভার?