যাই যাই শীতের সকালে নির্জন দেবদারু গালে
চুমুর আখরে এঁকেছিলে আমার নামের পাশে
তোমার সুখের ইতিকথা ।
কতকাল হবে ?
উড়ু উড়ু বসন্তের দুরু দুরু বুকে
ছুঁয়েছি নিষ্পাপ প্রথম চোখের পাতা
তোমারই সুসম্মত ধ্যানে ।
কতকাল হবে ?
গ্রীষ্মের পিঠে চড়ে চলে গেছি আকন্দ- দুপুরে
দুইজনে দীপ্য দৃষ্টি পাবো বলে ।
কতকাল হলো ?
ঝরোঝরো আষাঢ়ের পড়োপড়ো মেঘের সুবাসে
আকন্ঠ ভিজেছি বলো
কতকাল হলো !
কতকাল পরে শরতের চিঠি এলো
তুমি পরবাসে !
হেমন্তের ভারে নুয়ে পড়ে ফসলের সিঁড়ি ।
তোমার নবনী মন খেলা করে নবান্ন উঠোনে ।
এরপরে শীতে জবুথুবু সাঁঝতারা রাতে
আবারও দীর্ঘ- দেখা শিরা -ওঠা হাতে ।
দুজনের মৌন জিজ্ঞাসা
— কতকাল পরে ?
শতাব্দী পেরিয়ে আসা আমাদের
অভিজ্ঞ বিচ্ছেদের বয়স বেড়েছে ।
শুধু হাজারো ঋতুচক্রের ঘর্ঘর রথে ক্রমাগত
ঘুরপাক খেয়েও দু’মনের বয়স বাড়েনি ।
চুমুর আখরে আঁকা উড়ু উড়ু বসন্তের
আকন্দ -মেঘ আর দুরু দুরু সাঁঝতারা ,
শিরা- ওঠা রাত
সব মিলে মিশে আছে ।
কেননা স্মৃতিদের বয়স বাড়ে না !