আমার কোনও স্থায়ী ঠিকানা নেই
তবুও আড়ালে শব্দে শব্দে নিজেকে আঁকি
আঁকতে আঁকতে নিজের সামনে নিজেই
অসম্ভব নগ্ন হয়ে পড়ি
পৃষ্ঠা জুড়ে অথৈ সাদায় আমার পুনর্জন্ম আঁকি
সমস্ত গোলাপ ফুলের মোহিনী গন্ধ
নিষিদ্ধ অভিসার নিয়ে
বাতাসে ভীষণ আঁকি-বুকি কাটে
আর ঢেউ তুলে বয়ে যায় মৃদুমন্দ
সারাটা জীবন শুধু নিজেকেই করেছি শাসন
সারাটা যাপন জুড়ে অক্ষরেই দিয়েছি তীক্ষ্ণ শান
জীবনের প্রতিশব্দ খুঁজে খুঁজে
নিজের ভেতরে এসেছি ফিরে নিজে
ফিরে এসেছে যে চোখের ঘনঘোর
সেই ‘কালো হরিণ চোখে’ই কৃষ্ণ কাজল আঁকি
আকাশ ভাঙা মেঘে মেঘে নদী এঁকে
ডুবে মরি সেই চোখের নদীর পাকে
পৃষ্ঠা জুড়ে অথৈ সাদায় তবুও পুনর্জন্ম আঁকি
এর নাম স্মৃতিচিহ্ন
চিহ্ন ভেঙে ভেঙে গড়ে তোলা স্মৃতিচিহ্ন ঘিরে
আপাদমস্তক আলোয় ফেরা,শব্দে ফেরা ।