রিমঝিম বৃষ্টির উদ্দাম নাচ,
এক হাঁটু জলে পানসী ভাসে……
তুলোট কাগজে লেখা ছোট্ট চিঠি,
দুলতে দুলতে আসে পানসীর সাথে।
আরে! এ কী! আমাকেই লেখা দেখি!!
মেসোপটেমিয়া ধ্বংসের ছাই মাড়িয়ে
আমার ভূমিতে নেমে আসে;
উফ্! কী উষ্ণতা! কী উত্তাপ আছে ওতে!
রামধনুর সাত রঙে রাঙা সিঁড়ির কোণে বসে
তুমি লিখেছিলে;
চকচকে কাঠের ছোট ছোট ধাপ…….
দু’পাশে সোনালী রেলিং,
লতাগুল্ম ছুঁয়ে আছে,
আঠারো বছরের যুবতীর মতো।
মেঘেদের ছাড়িয়ে সিঁড়িটা উঠতে উঠতে
আকাশের অনেক ভেতরে মিশে গেছে..!!
উন্মুক্ত চত্বর জুড়ে ফলন্ত গাছের শরীরে নীল ফল,
রাজবেশে তুমি বসেছিলে!
মজবুত সুঠাম দেহে ঠিকরে পড়ছে
রিবনের মতো ফালা ফালা সূর্যের কিরণ।।
চোখে তোমার প্রমিউথিসের কল্পকাহিনী আঁকা;
পাখীর পালকের গা চুঁইয়ে
শব্দরা ভালোবাসা হয়ে ঝরছে-
হাত বাড়িয়ে ছুঁতে চাইলে..!
তোমার নীল ঠোঁট থরথর করে কাঁপছে!
কপালের ভাঁজে চকচকে ঘাম! এ কী মুহূর্ত..!!
হঠাৎ এক ঝলকে প্যান্ডোরার বাক্স খুলে
হতাশা বেরিয়ে আসে;
স্বপ্নেরা নিঃশব্দে ফুটপাথ ধরে হেঁটে আসে!
একঝাঁক বাবুই পাখির পালক ছুঁয়ে…