ঘুমকাতুরে চোখ শুয়ে শুয়ে
নাগরিক জীবনের জানালায় উঁকি দিয়ে
দেখার চেষ্টা করছে – এই বুঝি সৌভাগ্য তাকে ছুঁয়ে দিয়ে যাবে পরম যত্নে!
যদিও লোকে বলে – নিজের বলতে চাঁদের নাকি
একটুও আলো নেই।
তবুও অন্যের থেকে ধার নেওয়া একঝাঁক আলোকে
গভীর অন্ধকারের বুকে মেলে দিয়ে
রাতের ঠোঁটে আদর সাজিয়ে,
কিছুটা অহংকারের সুরে বলে ওঠে —-
প্রিয়তম, এইতো আমি, আজ দেওয়াল ঘেরা
তোমার শহরে নেমে এসেছি
ধরা দিতে তোমাতে,
তোমার সৌভাগ্যের চাঁদ হয়ে,
বিষাদের সাধ্য কি-যে তোমার আলতো চোখের
রাতারাতি খ্যাতিমান হয়ে ওঠা সর্বনাশা নেশাকে
চিরন্তন বলে দাবি করতে পারে!!
আছি তো আমি — নিজের সকল অক্ষমতা বিসর্জন দিয়ে
দিব্যি আকাশের সাথে মিশে,
আর আছি তোমার শরীর ছুঁয়ে,
এই শতকের প্রতীক হয়ে,
বিলাসিতার সুখে সবটুকু জড়তা কাটিয়ে
আলোকিত উপমা হয়ে অনুভূতির পূর্ণিমাতে।