Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » সে রাতে || Rita Mukherjee

সে রাতে || Rita Mukherjee

জ্যামিতিক ছন্দে বাঁধা শরীর , বৃত্তের চারপাশে শকুনের পাল
শরীরটা কি মৃত নাকি শ্বাস পরছে এখনো ও !?
বৃত্তের মাঝে এসে জমা হয় বহু জোড়া চোখ এই মধ্যরাতে।
এখনও কণ্ঠনালীর কাছটাতে কিছু ওঠাপড়া–
তাহলে প্রাণ আছে বাকি!? বিদ্রুপ হাসি খেলে যায় কিছু চোখে ।
প্রমান হাওয়া করতে হবে — বলে ওঠে একজন
কিন্তু কিভাবে? — প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় কেউ —-
আছে আছে উপায় আছে— সমস্বরে উল্লাস তখন আকাশ স্পর্শ করেছে ।
আকাশ তখন নাম না জানা হাজার তারার মালায় সেজেছে
নবান্নের ঘ্রানে সিক্ত অঘ্রানের কুয়াশা ঢাকা সে রাত—
একটা অস্ফুট গোঙানির শব্দ উঠে আসছে বুক বিদীর্ণ করে ঐ অর্ধমৃত শরীর থেকে ।
সে শব্দ পৌছবেনা সভ্যতার জানলা ফুঁড়ে নরম বিছানায় — যেখানে চলছে যৌনতার মধু পান ,
ওরা কাল জানবে , খবরের কাগজে, টিভিতে অথবা লোকমুখে ।
মুখে থাকবে “আহারে ” সূচক শব্দ, তার পর নাকে মুখে রুমাল চাপা দিয়ে বাজারের থলি হাতে ব্যস্ততার দিন যাপন ।
ভাবটা যেন এমন — ” আমার ঘর তো বেঁচেবর্তে আছে , বেশি মাথা না ঘামানোই ভালো ,
না হলে পিছনে রাজনীতির গুপ্তচরেরা আছে ।
নিজের মেয়ে কে আদর করে কাছে টেনে নেয় বাবা ,
কিন্তু সত্যি ই কি বাঁচবে ওরা ?
এই নিশ্চছিদ্র আঁধার রাতে — সকলেই এখন নিদ্রা মগন , নেই কোনো চঞ্চলতা ।
শুধু একটা গোঙানির শব্দ শুকনো পাতায় তোলে মর্মর ধ্বনি—- বড় নিশ্চুপে
মাটি শুষে নেয় রক্ত শ্রাবণ ধারা — যেন কোনো পিশাচিনী —
পৃথিবীর বুকে লালোসার জন্ম হয় , জন্ম হয় রক্তবীজের। এমনই রাত ওদের বড় প্রিয় ।

সবুজ পাতারা শ্রান্ত হয়ে একটু যেন জিরিয়ে নিচ্ছে গাছের অঙ্গে লেপটে ।
শুধু শরীর টা আর লেপটে নেই ঘরের সাথে , ঘরের মানুষের সাথে ।
আরে , এই কি এত ভাবছিস– গম্ভীর স্বর ভেসে এলো চতুর্ভুজের চৌহদ্দি থেকে
হাতে ধরা রঙিন পানীয় ঢেলে দিল একজন ঐ অর্ধমৃত শরীরটার মুখে
কেউ পায়ের আঘাতে উল্টে দিল শরীর,,,,,, পরনের বস্ত্র তখন জঙ্ঘা ছুঁয়েছে
সরীসৃপেদের হাত যেন আরও একবার– শেষবারের মত শরীর লতিয়ে উঠতে চায় ।
সাক্ষী কেবল আকাশের তারা আর নীরব মধ্যরাত , হতে পারে দেখেছিল ঝিম ধরা ঐ চাঁদ
ওরা পেট্রল নিয়ে এলো — নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে শরীরটার
অস্ফুটে কি যেন বলতে চাইলো একবার , ঠিক বোঝা গেলো না ।
ছিন্নভিন্ন শরীরটা নিয়ে আরও একবার বাঁচার আকুতি !
কি জানি হতেও পারে , অথবা বলতে চাইল — আর কেনো কষ্ট দিচ্ছ ,,,, এবার শেষ করে দাও চিরতরে ,,,,,
শকুন গুলো হয়তো বুঝেছিল সে কথা , শুধু একটা দেশলাই কাঠি জ্বলে ওঠার দূরত্ব—
আর তারপর হাত সেঁকে নেওয়া ঐ আগুনে
পরের দিন মানুষের দলে ভিরতে হবে তো—–

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *