হঠাৎ করে দেখা হয়ে গেল জানোয়ারটার সাথে
এ যেই সেই জানোয়ার নয়
এটা একটা শিক্ষিত জানোয়ার,
আরে এই জানোয়ার টাই তো ১২ই অক্টোবর রাতে আমাকে ধমক দিয়েছিল
সে কি..! সত্যি ?
আরে হ্যাঁ রে হ্যাঁ….
সাধারণ মানুষের হাজার হাজার টাকা নেওয়ার প্রতিবাদ লিখেছিলাম আমি
আর সেই কারণেই এই জানানোটা আমাকে ধমকেছিল
কথা বলতে গেলে কেন অমন নির্মম; নির্দয়; বেহায়া জানোয়ারের সাথে ?
“বলতে তো চাইনি ভাই
কথা না বলেও কোথায় যাই” ?
“রাস্তায় দেখা হওয়া মাত্রই উনি যে দুহাত তুলে আমাকে নমস্কার করলেন”..!
“হঠাৎ করে কেন যেন আমি ভুলে গেলাম ওনার সেদিনের ঐ অভব্য আচরণের কথা”।
কি বলেছিলেন ঐদিন উনি ?
উনি বলেছিলেন;
“আমি নাকি যে পাতে খাই সেই পাত ছেদা করি”
উনি বলেছিলেন;
“আমাকে ওনারা এই পাড়ায় থাকতে দিয়ে ভুল করেছেন”
আমাকে উনি প্রচুর ধমকেছিলেন
ভূমিকম্পের সমান ধমক দিয়ে বলছিলেন;
“আপনি অনেক বড় কবি হয়ে গেছেন”?
একপ্রকার আমার মত মানুষকে আত্মহত্যার মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন উনি।
ওনার ঐ দিনের ঐ পশুত্ব আচরণে দুঃখ পেয়ে
আমি এই জীবন হতে ইতি টেনে দিচ্ছিলাম
ভাগ্যিস আমার স্ত্রী আমার পাশে থেকে আমাকে বাঁচিয়েছে..
কি বলছেন ?
হ্যাঁ ঠিকই বলছি।
একজন শিক্ষিত মানুষ এত বড় অমানুষ হতে পারেন ?
কেউ না পারুক উনি পারেন।
একজন প্রতিবাদী কবিকে তাঁর লেখার জন্য এতটা হেনস্থা?
তা আবার কোন শিক্ষিত ব্যক্তির দ্বারা?
এতো মধ্য যুগীয় বর্বরতার জীবন্ত প্রতিচ্ছবি..!
বর্তমান এই আধুনিক সমাজে দাঁড়িয়ে ভাবা যায়?
ছিঃ….…. ছিঃ…… ছিঃ……
“অমন মানুষরূপী জানোয়ারের মুখে থুতু মারি”
ধন্য আপনার কবিতা
ধন্য আপনার সাহসিকতা,
আরো আরো লিখে যান এই সব মানুষের নির্মমতা এই সব মানুষের বর্বরতা
কলম সত্যের পথে কালী ঝরাতে জানে
জানেনা সে কোন নীরবতা।