নদীটি শুকিয়ে গেছে, পড়ে আছে নদীটির নাম
পূর্ণিমার চাঁদ এসে দোল খেতে গিয়ে দেখে
জল নেই, শুনশান, স্থির মধ্যযাম!
ভেঙে যায় সুন্দরের ছোট ছোট।
প্রিয় স্বপ্নগুলি
ইঁদুরেরা খেয়ে নেয় প্রেক্ষাপট, রং মাখা তুলি!
সুন্দরের স্বপ্ন ভাঙে, হারায় না, ফিরে ফিরে আসে
এই বৃষ্টি, এই রোদ যেমন আকাশে।
যেমন শৈশব স্মৃতি, এ সবই তা জেদি
চতুর্দিকে যত হোক কামান গর্জন, তবু
মায়ের গলার স্বর
সব শব্দভেদী!
সুন্দর লুকিয়ে থাকে, খেলা করে একান্ত নিভৃতে
সে জানে কেউ না কেউ ঠিক এসে যাবে তাকে
বুকে তুলে নিতে।
সুন্দরের এক কণা এসে পড়ে এঁদো জলে,
কচুরি পানায়
তাজমহলের চেয়ে সেখানেও তাকে কিছু কম কি মানায়?
শুধু তো গোলাপে নয়
ঝরে পড়া শেফালির, আশ্বিনের কাশে
গরিব ঘরের চালে সে হঠাৎ কুমড়োর ফুল হয়ে হাসে
শালিক পাখিটি উড়ে যায়, কিছু শব্দ রেখে যায়
বাবুই পাখির বাসা সুন্দরের ঘর বাড়ি
এমনকী লেগে থাকে পরিশ্রমী
পিঁপড়েদের পায়
ঘুম যদি নাও আসে, স্বপ্ন ছাড়া বেঁচে থাকা ভার
বারবার ফিরে এসো সেই স্বপ্নে
সুন্দর আমার!