বাগদাদ শহরে এক ধনীর ছেলে প্রতিজ্ঞা করিয়া বসিল— সে কাজীর

এক ছিল রাজা। রাজা একদিন সভায় বসেছেন- চারিদিকে তাঁর পাত্র-মিত্র

এক মুনি, তাঁর অনেক শিষ্য। মুনিঠাকুর তাঁর পিতৃশ্রাদ্ধে এক মস্ত

“বড়মামা, একটা গল্প বলো না।”“গল্প? এক ছিল গ, এক ছিল

আমাদের স্কুলের যত ছাত্র তাহার মধ্যে এমন কেহই ছিল না,

তার আসল নামটি যজ্ঞদাস। সে প্রথম যেদিন আমাদের ক্লাশে এল

বিষ্ণুবাহন খাসা ছেলে। তাহার নামটি যেমন জমকালো, তার কথাবার্তা চাল-চলনও

শ্যামচাঁদের বাবা কোন একটা সাহেব-অফিসে মস্ত কাজ করিতেন, তাই শ্যামচাঁদের

তারা দেড় বিঘৎ মানুষ।তাদের আড্ডা ছিল, গ্রাম ছাড়িয়ে, মাঠ ছাড়িয়ে,

রাজবাড়িতে যাবার যে পথ, সেই পথের ধারে প্রকাণ্ড দেয়াল, সেই

এক ছিল রাজা। রাজা জাঁকজমকে পোশাক পরিচ্ছদে লাখ লাখ টাকা

পণ্ডিতমশাই ভট্‌চার্যি বামুন, সাদাসিধে শান্তশিষ্ট নিরীহ মানুষ। বাড়িতে তাঁর সরষের

জাপান দেশে সেকালের এক চাষা ছিল, তার নাম কিকিৎসুম। ভারি

পুতুলের মা খুকী আজ ভয়ানক ব্যস্ত। আজ কিনা ছোট্ট পুতুলের

এক ফরাসি ভদ্রলোকের একটা কুকুর আর একটা টিয়াপাখি ছিল। কুকুরটাকে

“হরিপদ! ও হরিপদ!”হরিপদর আর সাড়াই নেই! সবাই মিলে এত চ্যাঁচাচ্ছে,

আমাদের রামপদ একদিন এক হাঁড়ি মিহিদানা লইয়া স্কুলে আসিল! টিফিনের

“এই দ্যাখ্‌‌ টেঁপি, দ্যাখ্‌‌ কি রকম করে হাউই ছাড়তে হয়।

রাজার সভায় মোটা মোটা মাইনেওয়ালা অনেকগুলি কর্মচারী। তাদের মধ্যে সকলেই

এক ছিলেন সওদাগর— তাঁর একটি সামান্য ক্রীতদাস তাঁর একমাত্র ছেলেকে

কতগুলো ছেলে ছাতের উপর হুড়োহুড়ি করে খেলা করছে-এমন সময়ে একটা

কালাচাঁদ নিধিরামকে মারিয়াছে– তাই নিধিরাম হেডমাস্টার মশায়ের কাছে নালিশ করিয়াছে।

গরিব চাষা, তার নামে মহাজন নালিশ করেছে। বেচারা কবে তার

তাহার আসল নামটি যে কি ছিল, তাহা ভুলিয়াই গিয়াছি— কারণ

ভজহরি আর রামচরণের মধ্যে ভারি ভাব। অন্তত, দুই সপ্তাহ আগেও

শহরের কোণে মাঠের ধারে এক পুরানো বাড়িতে পিটার থাকত। তার

কেদারবাবু বড় বদরাগী লোক। যখন রেগে বসেন, কাণ্ডাকাণ্ড জ্ঞান থাকে

স্বর্গের দেবতারা যেখানে থাকেন, সেখান থেকে পৃথিবীতে নেমে আসবার একটিমাত্র

“পণ্ডিতমশাই, ভোলা আমায় ভ্যাংচাচ্ছে।”“না পণ্ডিতমশাই, আমি কান চুলকাচ্ছিলাম, তাই মুখ

সূদন ছিল ভারি গরীব, তার একমুঠা অন্নেরও সংস্থান নাই। রোজ

ইস্কুলের ছুটির দিন । ইস্কুলের পরেই ছাত্র-সমিতির অধিবেশন হবে, তাতে

আলি শাকালের মত ওস্তাদ আর ধূর্ত নাপিত সে সময়ে মেলাই

যতিনের বাবা তাকে এক জোড়া জুতো কিনে দিয়ে আচ্ছা করে

নয়টি বোন ছিলেন, তাঁহারা ছন্দের দেবী। গানের ছন্দ, কবিতার ছন্দ,

মুখে-মারি পালোয়ানের বেজায় নাম, —তার মত পালোয়ান নাকি আর নাই।

এক ছিল মহাজন, আর এক ছিল সওদাগর। দুজনে ভারি ভাব।

দুপুরের খাওয়া শেষ হ‌‌ইতেই গোপাল অত্যন্ত ভালোমানুষের মতন মুখ করিয়া

জলধরের মামা পুলিশের চাকরি করেন, আর তার পিশেমশাই লেখেন ডিটেকটিভ

দুই বন্ধু ছিল। একজন অন্ধ আরেকজন বদ্ধ কালা। দুইজনে বেজায়

ওয়াসিলিসা এক সওদাগরের মেয়ে। তার মা ছিল না, কেউ ছিল

থর্‌ নরওয়ে দেশের যুদ্ধ দেবতা।যুদ্ধের দেবতা কিনা, তাই তাঁর গায়ে

‘টোকিয়ো—কিয়োটো—নাগাসাকি—য়োকোহামা’ — বোর্ডের উপর প্রকাণ্ড ম্যাপ ঝুলিয়ে হারাণচন্দ্র জাপানের প্রধান

আমাদের ‘সবজান্তা’ দুলিরামের বাবা কোন একটা খবরের কাগজের সম্পাদক ।

বুড়ো মুচী রাতদিনই কাজ করছে আর গুণ্‌ গুণ্‌ গান করছে।

টোলের যিনি গুরু, তাঁর অনেক শিষ্য। সবাই লেখে, সবাই পড়ে,

নন্দলালের ভারি রাগ, অঙ্কের পরীক্ষায় মাস্টার তাহাকে গোল্লা দিয়াছেন। সে

কেদারবাবু বড় বদরাগী লোক। যখন রেগে বসেন, কাণ্ডাকাণ্ড জ্ঞান থাকে

ইনি কে জানো না বুঝি? ইনি নিধিরাম পাটকেল।কোন নিধিরাম? যার

প্রফেসর হুঁশিয়ার আমাদের উপর ভারি রাগ করেছেন। আমরা সেকালের জীবজন্তু

এক ছিল বুড়ো আর এক ছিল বুড়ী। তারা ভারি গরীব।

মাতারিকি আকাশের পরী। আকাশের পরী যারা, তাদের একটি করে তারা

(জাপানী গল্প) গ্রামের ধারে কবেকার পুরান এক পাতকুয়োর ফাটলের মধ্যে

তার নাম অফেরো। অমন পাহাড়ের মত শরীর, অমন সিংহের মত

চণ্ডীপুরের ইংরাজি স্কুলে আমাদের ক্লাশে একটি নূতন ছাত্র আসিয়াছে। তার

বেজায় গরম। গাছতলায় দিব্যি ছায়ার মধ্যে চুপচাপ শুয়ে আছি, তবু

এক ছিল দুষ্টু মেয়ে— বেজায় হিংসুটে , আর বেজায় ঝগড়াটি।

সকল বিষয়েই সর্দারি করিতে যাওয়া ভোলানাথের ভারি একটা বদ অভ্যাস।

আমাদের পোস্টাপিসের বড়বাবুর বেজায় গল্প করিবার সখ। যেখানে সেখানে সভায়

মহাভারতে যেমন ভীম, গ্রীস দেশের পুরাণে তেমনই হারকিউলিস। হারকিউলিস দেবরাজ

নবীনচাঁদ স্কুলে এসেই বলল, কাল তাকে ডাকাতে ধরেছিল। শুনে স্কুলশুদ্ধ