সিংহ বনে সভা বসিয়েছে,
বিষয়টি বেশ গুরুগম্ভীর।
মাংসাশী কারা?
আমরা খিদে মেটাবার জন্য আহার করি।
আমাদের শিক্ষা নেই, সংস্কৃতি নেই, সভ্যতা নেই।
তবু আমাদের চরিত্র স্পষ্ট ও নির্দিষ্ট।
কিন্তু যাদের শিক্ষা আছে, সংস্কৃতি আছে, সভ্যতা আছে, উদরপূরণের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা আছে,
তারা….??
পরস্ত্রী, পরনারী,বয়স্কা, নাবালিকা, বিধবা,প্রতিবন্ধী, মানসিক ভারসাম্যহীন….
সব সব মাংস চলে,
শুধু মাংসটা হতে হবে নারীর!
খাবার স্থান নিয়েও কোনো উন্নাসিকতা নেই..
ঘর, মাঠ, পার্ক, হোটেল, পতিতালয়,বিদ্যালয়,উচ্চ বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ব বিদ্যালয় সর্বত্র;
অবশ্য এক্ষেত্রে ধর্মীয়স্থানও নিষিদ্ধ নয়।
ভক্ষণকারীরও প্রকারভেদ আছে…
উঠতি বয়সের যুবক, সববয়সী বিবাহিত যুবক, কামান্ধ বৃদ্ধ, ঘরোয়া সম্পর্কের কিছু কাছের মানুষ।
সব থেকে উন্নত প্রজাতির ভক্ষক হল রাজনৈতিক মানুষ।
এনাদের টক ঝাল মিষ্টির মত সবসময় কিছু চটপটা লাগে।
গুরুগম্ভীর আলোচনারত সিংহের কথায় ছেদ টেনে
শিয়ালের বক্তব্য, মহারাজ এই উন্নত প্রজাতি নিয়ে আর বেশী আলোচনা না করাই শ্রেয়,
কারণ তাতে আমাদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে।
আমরা এই ভালো আছি,
কারণ আমাদের খিদে পেটে,মনে নয়।