স্বাধীনতা ! তুমি তো এবারে সাতাত্তরে,
সময়ের সোপান বেয়ে যথেষ্ট পরিণত।
কিন্তু, তোমাকে ঘিরেই দিনকে দিন ভাবনারা ক্রমেই জটিল আবর্তে, কেন বলোতো!
স্বাধীনতার মানেটাই রূপ বদলাচ্ছে আজকাল।
এমন স্বাধীনতা তো নেতাজীর স্বপ্নে ছিলো না!
বিপ্লবী ক্ষুদিরাম,প্রফুল্লচাকি,বিনয়- বাদল -দীনেশ
মাস্টারদা,প্রীতিলতা- মাতঙ্গিনী কারো?
এমন একটি স্বাধীনতার জন্যেই কি তাঁরা প্রাণের বলি দিয়েছিলেন?
স্বাধীনতা! তোমাকে সুললিত বিন্যাসে দেখার অদম্য আগ্রহেই কিন্তু হাসিমুখে তাঁরা আত্মাহুতি দিয়েছে।
স্বাধীনতা ! লাখো শহিদের শোণিত ধারায় স্নাত হয়ে তুমি এলে,
সারাদেশ জুড়ে তখন আনন্দের ফোয়ারা!
সময়ের স্রোতে ক্রমেই তোমার গায়ে শ্যাওলার আঁত,
লোভের দাঁড়িপাল্লায় তুমি হেলছো,দুলছো অদৃশ্য হাতের অঙ্গুলি সঙ্কেতে ,তাইনা?
যদি তাই নাহয়, বলোতো,কেন নারীর স্বাধীনতা নেই?
কেন স্বাধীন দেশে শিশুরা পথে পথে ঘুরে দুমুঠো ভাতের জন্যে?
কেন, দেশজুড়ে বৃদ্ধাশ্রম বেড়েই চলেছে?
কার অন্যায় ঘৃণিত কাজের জন্য নিষ্পাপ শিশুরা অনাথ ?
স্বাধীনতা! বুকের মাঝে তীব্র ব্যথার কামড় টের পাই এসব দেখে।
এমন স্বাধীনতা তো আমরা চাইনি!
স্বাধীনতা হবে মুক্ত আকাশের মত
স্বাধীনতা হবে শান্তির ছায়া
স্বাধীনতা হবে নির্ভয়ে পথ চলা
স্বাধীনতা থাকবে জাতিধর্ম নির্বিশেষে সবার জন্যে ,
থাকবে নিরাপদ আশ্রয়,পায়ের নীচে মাটি
অনাথ ,পথশিশু থাকবে না কেউ।
দেশের মাটি , ফসল,ফল,শস্য সকলের তরে,
স্বাধীনতা তুমি আমাদের প্রাণের চেয়েও প্রিয়,
আমরা তোমাকে ভালোবাসি
তোমাকে আঁকড়ে থাকতে চাই সারাটি জীবন।