Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » সবার উপরে || Suchandra Basu

সবার উপরে || Suchandra Basu

সবার উপরে

৫ ই সেপ্টেম্বর “জাতীয় শিক্ষক দিবস “৷ আমার সব শিক্ষককে প্রণাম ও সমস্ত শিক্ষককে জানাই শ্রদ্ধা ৷
HAPPY TEACHERS DAY TO ALL .
Teacher means , T- Truthful ( সত্যবাদী ),
E- Educated ( শিক্ষিত) , A- Active ( সক্রিয় ),
C- Character ( চরিত্রবান) , H- Honest ( সৎ),
E- Energetic ( উদ্যোগী) , R- Responsible
( দায়িত্ববান ) ৷আবার “শিক্ষক ” শব্দটি বিশ্লেষণ
করলে পাই – শি- শিষ্টাচার , ক্ষ- ক্ষমাশীল ,
ক- কর্তব্য পরায়ণ ৷ শিক্ষকরা হলেন – T- Talented , E- Elegant , A- Awesome , C- Charming , H- Helpful , E – Efficient , R -Receptive
সালটা ১৯৯৪।ভারতবর্ষের রাষ্ট্রপতি মাননীয় শঙ্কর দয়াল শর্মা তাঁর বিদেশ যাত্রায় চলেছেন ওমানে।সেইদিন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান যখন ওমানে অবতরণ করল তখন তিনটে অত্যন্ত চমকপ্রদ ঘটনা ঘটেছিল।আজ সেকথাই আপনাদের বলব।
১)ওমানের রাজা কখনোই কোনো গন্যমান্য ব্যক্তিকে রিসিভ করতে বিমানবন্দরে যেতেন না।কখনোই না।কিন্তু সেদিন সবাইকে চমকে দিয়ে ওমানের রাজা রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে এলেন।
২)যখন বিমান রানওয়ে স্পর্শ করল তখন রাষ্ট্রপতি সিঁড়ি দিয়ে অবতরন করলেন না,বরং ওমানের রাজা নিজেই সিঁড়ি দিয়ে উঠে গেলেন বিমানের মধ্যে। তিনি নিজে রাষ্ট্রপতিকে সিট থেকে গ্রহব করবেন বলে।
৩)প্লেন থেকে নামার পর শ্রী শর্মা দেখলেন অদূরেই দাঁড়িয়ে আছে একটি সুসজ্জিত গাড়ি।শঙ্কর দয়াল শর্মা এগিয়ে গেলেন গাড়ির দিকে।আর তখনই ওমানের রাজা চালককে ইশারা করলেন অন্য গাড়িতে গিয়ে বসার জন্য,কারন তিনি নিজেই গাড়ি চালিয়ে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে যাবেন তাঁর বাসভবনে।
এইসব দেখার পর কৌতুহলী, বিস্মিত সাংবাদিকরা রাজাকে জিজ্ঞেস করলেন তিনি একই সঙ্গে এতগুলো প্রোটোকল কেন ভাঙলেন? রাজা মৃদু হেসে জবাব দিলেন, আমি আজ ভারতের রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে যাইনি,আমি ভারতবর্ষে পড়াশোনা করেছি,বহু কিছু শিখেছি ওই দেশের কাছে।যখন আমি পুনেতে পড়াশোনা করতাম তখন শ্রী শর্মা আমার প্রফেসর ছিলেন,শুধুমাত্র এই কারনেই আমি ওনাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়েছিলাম।
এটাই শিক্ষক হবার সবথেকে বড়ো শক্তি বলে মনে করি।শিক্ষক হওয়া এই জন্যেই গর্বের, প্রাপ্তির। একজন শিক্ষকের স্থান রাষ্ট্রপতিরও উর্ধ্বে।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আমাদের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের জন্মদিনটি ১৯৬২ সাল থেকে ভারতে “শিক্ষক দিবস ” হিসাবে পালিত হয়
৷ বিখ্যাত শিক্ষক সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ দেশের রাষ্ট্রপতি হলে তাঁর ছাত্রছাত্রীরা তাঁর জন্মদিন সাড়ম্বরে পালনের আবদার জানালে রাধাকৃষ্ণণ বলেন তাঁর জন্মদিন নয় যে শিক্ষাকতাকে তিনি সবচেয়ে শ্রদ্ধা করেন সেই শিক্ষক সমাজকে এই দিন শ্রদ্ধা জানানো হোক ৷ তাই ১৯৬২ সাল থেকে ভারত জুড়ে ৫ সেপ্টেম্বর শুরু হয় ” শিক্ষক দিবস” পালন ৷ আজও অন্ধ্র ও বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য , ভারতরত্ল রাষ্ট্রপতি রাধাকৃষ্ণণকে দেশের শিক্ষক সমাজের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Powered by WordPress