সন্দেহের বশে
কিশোর ও রমলার নুতন বিবাহিত জীবন।রমলার শ্বশুর,শাশুড়ি বছর দেড়েক মারা গেছেন।রমলা কানাড়া ব্যাঙ্কের ম্যানেজার।রমলা শ্যামলা,মোটা মুখশ্রী ভালো ।
সুদর্শন কিশোরের সাথে ব্যাঙ্কে আলাপ।তারপর প্রেম ,বিবাহ।কিশোর একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে অ্যাসিস্টান্ট ম্যানেজার।
কিশোর কোনোদিন শ্বশুরের কথা শোনে নি।ভেবেছিল মারা গেছে।রমলাকে জিজ্ঞেস করলে উত্তর না দিয়ে চলে যায়।
একদিন রমা কিশোরকে জিজ্ঞেস করে সংসারে এত খরচ কেন?
তোমার টাকা কি করো?
তাছাড়া অমলার সাথে তোমার এত কি গল্প থাকে?
ছোটবেলার বন্ধু জানি।সময় পাল্টে গেছে ও ডিভোর্সী,লোকে কি বলবে??।
ওকে টাকা দাও না তো?
তুমি বলেছিলে ওর ব্যবসা মন্দা হলেই টাকা ধার নিত।
হ্যাঁ দিই বেশ করি।
আমার টাকা উড়িয়ে দিই তোমার দেখার দরকার নেই!!
রমলা চিৎকার করে বলে –/সবাই বলে তোমার চরিত্রের দোষ আছে…
কি জানো নাম??
হ্যাঁ অমলা।ওকে নিয়ে বাইকে ঘোরাও—আর কি কি করো ভগবান জানেন!!
কিশোর ক্ষিপ্ত হয়ে বলে”বাবা ও মার শিক্ষা পাও নি তো ,তাই হিংসুটে হয়েছো”!
আচ্ছা আচ্ছা শোনো রমলা — তোমার বাবার কথা তো কখনো বলোনি!!!
রমলা বলে —বলিনি কারণ উনি আমার মাকে ত্যাগ করেছিলেন।আমার পাঁচ বছর থেকে বাবার সঙ্গে সম্পর্ক নেই।
শুনে খুশি হয়েছ?
রমলা বলে–এখন দেখছি আমার বাবার প্রতিচ্ছবি তোমার মধ্যে।
এত রাগারাগি হয় একদিন কিশোর বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।
রমলা শুনেছে এক ভদ্রলোকের সঙ্গে ভাড়াবাড়ি তে থাকে।রমলাকে কলিগরা বুঝিয়ে বলে সামান্য ব্যাপারে বিবাদ করো না।নিজেরা মিটিয়ে নাও।সময় এগিয়ে যাচ্ছে।
রমলা কিশোর যে বাড়িতে থাকে কলিগদের কথায় যায়।দরজা খুলতেই রমলা দেখে তার বাবা!!!
রমলা ফিরে যাচ্ছিল,কিশোর বলে তোমার বাবাকে তোমার মা ভুল সন্দেহ করে আলাদা ছিলেন।তুমি ও তাই করতে চাইছ!!!
“আর শোনো”
“অমলা আমার পিসির মেয়ে”।
বলেছিলাম সময় কথা বলবে।বুঝলে হাঁদুরাম।এখন বর ও জোড়া বাবা নিয়ে সুখের সংসার।সময় কথা বলে।এরপর রমলা ও কিশোরের সংসারে নতুন অতিথি আসছে।মুখে ভাতের নিমন্ত্রণের অপেক্ষায় থাকুন।