রজনী ভরিয়া তোমারে ঘেরিয়া স্বপন গাঁথি
প্রভাতে যখন নয়ন মেলিয়া উঠিনু আজি
দেখিনু ভূবন ভরিয়া আলোক উঠেছে মাতি
শিশিরসিক্ত ভূবন কিরণ-বসনে সাজি |
সহসা আমার মুগ্ধ নয়নে লাগিল ভালো
নবপল্লবে হরিত মাধুরী, সোনার আলো !
তোমার প্রেমের পরশমানিক কেমন করি
অন্ধ আমার আঁখি পল্লবে ছোঁয়ালে আসি,
নিমিষে আমার পরাণ উঠিল আলোকে ভরি’
নিমেষে ভূবন নয়নে আমার উঠিল হাসি !
জীবনের যত ঝরা-ছেঁড়া-পাতা শীতের শেষে
বাহিরে আসিল নবীন আলোকে নবীন বেশে |
যে পথে আঁধারে শিহরি উঠেছি একেলা ডরে
যে পথে দেখেছি সাঁঝের আড়ালে মরণ নাচে,
সে পথ ভরিয়া তোমার হাসির কিরণ ঝরে
সে পথের পাশে ঝরে-পড়া ফুল আবার বাঁচে !
মরণ তোমার পরশে উঠিল জীবনে ভরি’
তোমারে লভিয়া নির্ভয় চিতে ভাসানু তরী !
সংসার পথে যত কোলাহল সবারি মাঝে
নীরব হৃদয় ভরিয়া শুনিব তোমার বাণী
দাঁড়াইবে পাশে বিঘ্ন-বিপদে সকল কাজে
স্বপনে আমার শয়ন রচিবে মানস-রাণী
সঙ্গিনী মোর, স্বপ্নের সাথী, কাজের ভাগী
দিবস রজনী জীবনে আমার রহিবে জাগি !