আয়,আয়না কাছে ,ও শ্রাবণী,শুনতে পেলি?
গুচ্ছ কথা আছে জমে মন দেরাজ বুকের ভাঁজে।
এইতো সবে আষাঢ় গেলো দিগ ভাসিয়ে যাচ্ছেতাই,
আকুপাকু মনটা আমার অপেক্ষাতে ছিলো তোর।
গেলো বারে সেইযে গেলি তারপরে তো নিপাত্তা তুই,
ঋতুর পরে ঋতু আসে কত শত কথার বাহার অনুভূতির।
বলবে কাকে? সবার কাছে মনটা কি আর যায়রে খোলা?
গুমরে মরি হা- পিত্যেশে সেই দুখেতে একলা ঘরে।
মেঘ পিওনকে শুধিয়েছিলুম আর কতদূর শ্রাবণী আমার!
মুচকি হেসে গড়িয়ে পড়ে মেঘের ছিটে দিলো ছুঁড়ে,
এতো উতলা কেন সখি,একটু খুলে বলবে নাকি!
কি পাজি গো ,কি যে পাজি কান্ডখানা বলতো দেখি?
শ্রাবণী,তুই শুধুই আমার সেই শিশুবেলার সময় থেকে,
তোর সাথে এই মিতালী তে ভাগ দেবো না আর কাউকে।
তুই এলেই তো মনটা আমার ময়ূরী হয়ে পেখম তুলে,
তোর ধারাতে সিক্ত হয়ে ভুবন ভুলি নাচের তালে।
শ্রাবণী তুই আসিস যবে কদম তলে হুল্লোড় চলে,
রাঈকিশোরী মনটা সবার বৃষ্টি মেখে ধামাইল নাচে।
গন্ধরাজে,কেতকীতে সুবাস ছড়ায় ফুল্ল মনে,
মালা গেঁথে কুঞ্জ সাজাই বিভোর খুশি উপচে পড়ে।
দ্যাখনা চেয়ে,শ্রাবণী সই রাধাচূড়া কৃষ্ণচূড়া,
লাল আগুনে সেজে কেমন ইশারাতে কাছে টানে।
তোর রূপেতে মজনু সবাই এই ভুবনের কবি সকল,
কাব্য খাতা ভরছে সবে শ্রাবণ রূপের ধারায় শত।
কত শত প্রেমিক হৃদয় তোর রূপেতে থাকলো মজে,
প্রেম যমুনায় দিচ্ছে সাঁতার শ্রাবণ দিনের রসে ভিজে।
অবোধ যারা সবুজ মনের সেই শিশুদের গল্প বলি,
কাগজ নৌকো গড়ে তারা উঠোন জলে দিচ্ছে ঠেলা।
গূহ্য কথা বলছি তোকে পেটটা কেমন উঠছে ফেঁপে,
তোর অপেক্ষায় হৃদ মাঝারে চেপে রাখা শতেক কথা।
এলি যদি,বোস তো দেখি,দু’ দন্ড সই আমার পাশে ,
সেই ছেলেটা ভ্যালভ্যালেটা আমার প্রেমে পাগল সাজে।
শ্রাবণদিনে কদম তলায় দাঁড়িয়ে ছিলাম বৃষ্টি ছাঁটে,
কোথা থেকে ছুটে এসে দিলো চিঠি পায়ের কাছে।
চমকে চিঠি তুলে নিতে এক নিমিষে পালায় দূরে,
সেই থেকে রে ভ্যালভ্যালেটা বসলো আমার হৃদয় ভূমে।
তোর আসাতে সবাই খুশি ধরছে বকে মাছটা বিলে,
কেকার নাচে শ্রাবন ধারায় মনের মাঝে ছন্দ সাজে।
শ্রাবণী সই তোরেই তো কই আমার মনের সব কথা,
না বলে তুই পালাস নেরে হুড়মুড়িয়ে যথা তথা।