সকলের সাথে মেলাতে চেয়েছিলাম হাত
কেউ মেলায়নি হাত
অভাগা এই মনুষ্য জীবনের সবটুকুই যেন শূন্য বরাত
দূরে দূরে যায় সরে সব মহামানবের অবতার
নেই মোর বাহুবল; নেই মোর ক্ষমতা তাহাদের শোধরাবার।
জোনাকির মতো আমি যেন দুর্বল প্রদীপ
অন্ধকার রাজপথের পাশে আমি এক অপরিচিত পথিক
চেনা হীন যাত্রার লিখে চলা প্রত্যয় বিফল হয় জীবনের সন্ধি রচনায়
তবু এই প্রত্যাবর্তনের গায়ে নিরঙ্কুশ অবমাননার চিহ্ন রাঙায়
কবির কথার মালার মতো ব্যথার শয্যায় সিঁড়ি ভাঙ্গি দিনরাত
সকলের সাথে মেলাতে চেয়েছিলাম হাত
কেউ মেলায় নি হাত
অভাগা এই মনুষ্য জীবনের সবটুকুই যেন শূন্য বরাত।
অগোছালো সংসারে লেগে আছে পীড়াপীড়ি
সৌহার্দ্য ;ব্যক্তিত্ব ও সমন্বয় শুয়ে আছি আড়াআড়ি
প্রত্যাবর্তনের সেই উপন্যাসিক চেতনারা মাঝ গাঙ্গে যাচ্ছে ডুবে খুব তাড়াতাড়ি
সব গল্পেরা নীড়হারা হয়ে আজ, সব সত্যের স্বত্ত্বাটুকুও
গলিত লাভার মত নিষ্প্রাণ তাপের কাছে প্রভাবিত হয় আজ
আমি গল্প হারাদের গল্পের সন্ধান খুঁজে ফিরি;
খুঁজে ফিরি সৈকতে ফেলে আসা কোন প্রেমিকের যুগল বন্দী দুটি নরম হাত
আমি সকলের সাথেই মেলাতে চেয়েছিলাম হাত
কেউ মেলায়নি হাত
অভাগা এই মনুষ্য জীবনের সবটুকু যেন জনশূন্য বরাত।