আকাশের বুকে মেঘ ডাকে।
মেঘ ডাকলেই কেউ যেন কাঁদে, সারাটিক্ষণ বুকের
মধ্যে অঝোর ধারে বৃষ্টি ঝরে পরে!
জানো মেঘ, জীবনে চলার পথে চরাই উৎরাই পেরিয়ে, স্রোতের প্রতিকুলে ভাসতে শিখে গেছি।
কষ্ট গুলো কে পুড়িয়ে দিয়ে দীর্ঘশ্বাস কে বন্ধু করেছি!ঢেউ ওঠা বুকের নীরব কান্না শুনে মেঘ বালিকার মতো ঘুমিয়ে পড়েছি।
তোমাদেের ও তাই না?
দূরের পথ ধরে পথিক চলে যায়, বছর যায়,
একে একে সব ঋতুও পার হয়ে যায়।
ডাকলে সারা দেয় না, হারিয়ে যায়।
আমি তোমার বাঁশি শুনে বৃথাই ছুটে এসে মনের দরজা খুলি, মেঘ তুমিই বলো, আকাশে গগনহীন শূন্যতা ছাড়া আর কি কিছু নেই!
তবুও তোমার আকাশের নীল রঙ টা আমারই হয়ে রয়ে যাক!
আমার গভীর নীলে একবুক শূন্যতা দাও!
দক্ষিণা সমিরণ কে বলে দিও, প্রেম তো চাই নি আমি। তবে কেন বসন্ত এসে দরজায় কড়া নেড়ে যায়!
আমার সাজানো ঘরদোর আছে, সেখানে আমি স্বাধীন নই। বাক্ স্বাধীনতা আছে তবুও আমায় প্রতিবাদ করতে নেই।
আমার বাগান ভরা ফুল আছে সাজি নেই। আমার বুকে কোমল নদী আছে, তাতে নৌকা নেই। আরও যেন কী কী নেই! আহা, করছো টা কী?
সব যন্ত্রণা প্রকাশ করতে নেই, তাতে যন্ত্রনার পবিত্রতা নষ্ট হয়।
যেমন ভালোবাসা বেশি প্রকাশ করলে, ভালোবাসা দূরের পথ ধরে হেঁটে চলে যায়!
তোমাদের ও তাই না?