উত্তুরে বাতাস বয় , শীত আগমনে,
কুয়াশায় ধোঁয়া ধোঁয়া, ভোরের আকাশ।
রক্তিম বসনে সূর্য্য , উদিছে গগনে,
চন্দ্রভাতি সম যেন , তাহার প্রকাশ।
কুয়াশার আচ্ছাদনে, ঢাকা চারিপাশ,
রূপা দিয়ে মোড়া যেন , বৃক্ষ লতা পাতা।
দৃষ্টিপথে নাহি আসে , মনুষ্য আবাস,
উত্তাল তরঙ্গ যেনো , তুলিয়াছে মাথা।
ধান্য কাটিবার তরে,কৃষকের দল,
কাস্তে লইয়া হাতে, চলিয়াছে ক্ষেতে।
গান গেয়ে ধান কাটে, মহা কোলাহল,
কষ্টের ফসল তোলে, আনন্দেতে মেতে।
থরথর করে কাঁপে,পথশিশু যারা,
অনাবৃত দেহে বসে,আছে পথ ‘ পরে।
তাদের কষ্টের কথা , ভাবি নাকো মোরা,
চলে যাই অবহলে, নিজ নিজ ঘরে।
সন্ধ্যাকালে ঘরে ঘরে,সমবেত স্বরে,
টুসু গান গেয়ে সবে,করিছে পূজন।
পৌষের শেষের দিনে ,মহা আড়ম্বরে,
টুসু সঙ্গে নিয়ে করে,নদীতে গমন।
মিঠে পিঠে পুলি লয়ে ,আমরা সবাই,
খেজুর গুড়ের সাথে , থালা ভরে নিয়ে,
একসাথে বসে সবে , মহানন্দে খাই,
কেহ বা ভোজন সারে , ভাজা পিঠে দিয়ে।
রাত্রির প্রথম যামে , লক্ষ্মী আরাধনা ,
এরপর প্রতি যামে , সুর করে সবে।
ডেকে চলে পৌষেরে , যেয়ো না বলিয়া,
জন্ম জন্ম থাকো তুমি ,আমাদের ঘরে।