ওরে মোর শিশু ভোলানাথ , তুলি দুই হাত যেখানে করিস পদপাত বিষম তাণ্ডবে তোর লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় সব ; আপন বিভব আপনি করিস নষ্ট হেলাভরে ; প্রলয়ের ঘূর্ণচক্র -' পরে চূর্ণ খেলেনার ধূলি উড়ে দিকে দিকে ; আপন সৃষ্টিকে ধ্বংস হতে ধ্বংসমাঝে মুক্তি দিস অনর্গল , খেলারে করিস রক্ষা ছিন্ন করি খেলেনা - শৃঙ্খল । অকিঞ্চন , তোর কাছে কিছুরই তো কোনো মূল্য নাই , রচিস যা তোর ইচ্ছা তাই যাহা খুশি তাই দিয়ে , তার পর ভুলে যাস যাহা ইচ্ছা তাই নিয়ে । আবরণ তোরে নাহি পারে সম্বরিতে দিগম্বর , স্রস্ত ছিন্ন পড়ে ধূলি -' পর । লজ্জাহীন সজ্জাহীন বিত্তহীন আপনা - বিস্মৃত , অন্তরে ঐশ্বর্য তোর , অন্তরে অমৃত । দারিদ্র্য করে না দীন , ধূলি তোরে করে না অশুচি , নৃত্যের বিক্ষোভে তোর সব গ্লানি নিত্য যায় ঘুচি । ওরে শিশু ভোলানাথ , মোরে ভক্ত ব'লে নে রে তোর তাণ্ডবের দলে ; দে রে চিত্তে মোর সকল - ভোলার ওই ঘোর , খেলেনা - ভাঙার খেলা দে আমারে বলি । আপন সৃষ্টির বন্ধ আপনি ছিঁড়িয়া যদি চলি তবে তোর মত্ত নর্তনের চালে আমার সকল গান ছন্দে ছন্দে মিলে যাবে তালে ।