গোলাপ সবায় সুবাস ছড়ায়সেতো সবাই জানি,স্ব -মহিমায় সুযশ কুড়ানএই ধরাতে

মিলনের সাধ জেগেছিল মনেআসেনি কানু বনে,বাজেনি বাঁশরী গেলো কি পাশরীরাধা

প্রিয়তমেষু প্রকৃতির আমি প্রেমিকাভালোবেসে তাঁরে ছুঁতে চাই,আকণ্ঠ তোমার ওই রূপসুধা

জমাট প্রেমে মন মজেছেরাতি পোহায় জেগে,কথার পিঠে কথার রাশেমোহের ঘোরটি

ভালো মন্দের মানুষ যতএই ভুবনে আছে কতস্বভাব ভিন্ন রয়,মন্দ করে

অফুরন্ত আলোর ঝর্ণায় প্লাবিত বসুন্ধরা,চারিদিকে বিচ্ছুরিত আতসবাজির হাজারো রোশনাই অরূপ

ভাইকে আমার ফোঁটা দিতেসকাল থেকে ব্যস্ত চিতেমঙ্গল ডালি সাজে,ধান্য দূর্বা

জগত মাঝে রক্ত ধারায়অটুট বাঁধন সবাই জানি,ভাই ও বোনের আত্মিক

গোলাপ সুবাসে সুরভিত আচরণজন্মগত কাঁটাটুকু ছিলো অদৃশ‍্য তখনঅনুরাগী বিহ্বলতায় মন-দর্পন

টেঁকচাঁদ নামে সাহিত্যের ধামেলিখনী জগত শুরু,নব্য চিন্তার ফলপ্রসূত তাইস্ত্রীশিক্ষা প্রসারে

দীপান্বিতার হাজার রোশনাইঘুচায় সকল কালো,আলোর পথে চলে সবাইমঙ্গল দীপ জ্বালো।

কল্লোল যুগের গীতিকার কাব্যকারপ্রেমেন্দ্র মিত্রের নামে,শ্রদ্ধার আসনে তাঁহার স্থানটিমানব হৃদয়

মন খারাপের ডাক দিয়েছেপাহাড় সাগর নদী,অর্বাচীন মানুষ জাতিরচেতন জাগে যদি।

সাহিত্যের দিগাঙ্গনে বিরল নক্ষত্রদেবী মহাশ্বেতা জানি,জ্ঞানপীঠ পুরস্কারে বরেণ্য তাঁহারেশ্রদ্ধাভরে সবে

জীবনের বন্ধুর পথ চলতে গিয়েযদি আচমকাই অদ্ভুত কিছু অনুভূতির অনুরণন

ধান সিঁড়ি নদী তীরে প্রকৃতিররূপে মুগ্ধতায় কবি,চিত্ত পটে কল্পনার তুলি

সুস্থ জীবন সুখের যে মূলঅবহেলায় করো না ভুল।ক্ষিদের পেটে অন্ন

কপোতাক্ষ নদী সাগরদাড়ি গ্রামতোমার জনমে ধন্য,যশোর জেলা হলো খ্যাতকবি তোমার

সাহিত্যে যে মহারথী তারাশঙ্কর‘গণদেবতা’ তার সৃষ্টি,সপ্তপদী বসন্তরাগ পাষাণপুরিরচনাতে দক্ষ দৃষ্টি।

নদী তীরে খালে বিলে বুনো হাঁস খেলে,প্যাক প্যাক রবে ডেকে

চব্বিশ পরগনা মুরাতিপুরতোমার জনম ধাম,সুযোগ্য সন্তান বিভূতিভূষণপিতা মহানন্দ নাম। গ্রাম্য

শোন্ রে নবীন আয় রে তোরাদেশ গঠনে চল্,দিশা হারা জাতির

ও পরাণ মাঝি, তুমার মনে পড়ে,আমাদের পেত্থম পরিচয়ের কথা?সেই যিবারে

মানব সেবা চিকিৎসকেরকাছে পরম ধর্ম,শিক্ষা কালে শপথ সনেমানেন যে এই

বাংলা সাহিত্যে ধূমকেতু সমউদয় তোমার কবি,সমব্যথী তুমি দীন দুখীদেরতাদের আশার

স্মৃতির ধূসর ধূলো জমা ফাইলের ভাঁজে ভাঁজে অভিমানী শব্দের অস্ফুট

গাঁয়ের রাখাল,একটু দাড়াঁও বলছি তোমায় শোনো,সারাবেলা থাকো মাঠে ক্লান্তি কি

মন পিঞ্জিরায় বন্দি আছেআমার অচিন পাখি,উড়াল দিয়ে যাবে যখনখুলবে না

চেতনে মননে রয়েছে জুড়িয়াশুধুই তোমার ছবি,সুললিত ছন্দে শৈশবের চলাতোমার ছড়াতে

যত যায় দিন বেড়ে চলে ঋণবুকে চাপে ব্যথা ভার,শোধ করা

কতদূরে আছো এবে দেবী দুর্গা মাতা,পথে ঘাটে খানাখন্দে শঙ্কার বারতা।অতি

পড়ন্ত বেলায় স্মৃতির ভেলায়ডুবে পানকৌড়ি মনে,হৃদয় হরষে সুখের পরশেআঁকড়ে স্মৃতির

দারিদ্রতা শিক্ষা দানে বাঁচিবার তরে,জীবন যুদ্ধে অদম্য সাহসিকতা ভরে।কর্মে যারা

সাঁঝের আঁধার ঢাকে চারিধারঝিঁঝিঁ চপল মনে,বন বাদারে গাছের আড়েমগ্ন সুরের

স্বল্পক্ষণের মেয়াদ নিয়েমানুষ ধরায় আসে,কালের শমন আসবে যখনদমের বায়ু গ্রাসে।

পোশাক আশাক ভালো হলেইহয়না কভু মানুষ ভালো,কথাবার্তায় শ্লীলতাহীনভেতর যদি থাকে

আজকের যুগে নীতিবাক্য কেহ নাহি মানে,নৈতিক শিক্ষার মাহাত্ম্যটা ক’ জনাতে

স্নেহের ছায়া শীতল কায়াতোমার কাছে এলে,সুধার পরশ হৃদয় হরষখুশির ডানা

কর্ম করে ধৈর্য রাখলেফলটা যে হয় মিষ্ট,তাড়াহুড়ো করলে তাইতোজ্ঞানী বলেন

পাহাড়ের কান্না ঝরে ঝর্ণায়তরলিত চন্দ্রিকা বর্ণা,রূপসী অনন্যা দেব বরেণ্যালাবনী যেমতি