প্রতিটি রোমকুপে অপমানের যন্ত্রনা
মন্থরা বিষে আবহমান কাল নারীর ভাগ্যে লক্ষ্মণরেখা
সময়ের হাত ধরে দশাননের আগমন
ক্লেদাক্ত লালসা, প্রবঞ্চনা, শঠতার ফাঁদে পা রাখে সীতা
স্বৈরাচারী কামার্ত দশাননের অজেয় শকট সীতার মর্যাদাকে ছুঁড়ে দেয় অশোক কাননে
রাজ ঐশ্বর্যের বিনিময়ে নারীর অহংকার
সোনায় মোড়া সোনালী স্বপ্নীল জালে নারীর স্থান গৌন
একি প্রতিহিংসা নাকি কামনার কদর্য রূপ?
সীতার মুখোমুখি হয়ে প্রথম অনুভব করেছিলেন রাবণ নারীর অন্তর শক্তিকে
দীর্ঘদিনের পৌরুষ, অহংকার, প্রলোভন, নির্যাতন সীতাকে স্পর্শ করার সাহস পায় নি
কামনায় দগ্ধ হয়েছেন, নিজেকে নিঃশেষ করেছেন।
কিন্তু কলঙ্কের প্রজ্জ্বলিত শিখায় দগ্ধ হয় বিশ্বাস, ভালোবাসা, নারীর প্রতি মর্যাদাবোধ
অবোধ লবকুশ সমাজে সতীত্ব প্রমানে চিতার আগুনে সীতা,
একাকী বনবাসি প্রভুর অগ্নীপরীক্ষা নয় কেনো?
রিক্ত জীবনে আর্ত কান্নার হাহাকার উঠৈ বাল্মীক বনে।
সময়ের গর্ভে আজকের সীতা
সময় কেড়ে নেয় নাকি কৃত্রিম মেকী ভালোবাসা অন্ধকূপে ঠেলে দেয়
দশানন রূপ বদলেছে ব্র্যান্ডে আর সুসভ্য শিক্ষায়
বহু আলোকবর্ষ দূর আজ খুব নিকটে
হাত বাড়ালেই গভীর কালো কান্নার জল ছোঁয়া যায়
মহাসাগরের এপার ওপার কান্নার সমুদ্র উচ্ছ্রিত
পচা জলায় ঢিবির মতো শিকারির চোখ শিকার খোঁজে
ছোঁ মেরে তুলে নিয়ে বিষাক্ত মাকরসার জালে বন্দী করবে
চলবে কাঁটা ছেঁড়া যন্ত্রনার প্রক্রিয়া
চলবে জীবন হতে জীবনে, কাল হতে কালে
“ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে” শেষ আর হয় না….