একটি সোমত্ত নৌকা, দক্ষ মাঝি দু’জন আরোহী, থরথর
পানির উপরিভাগে ঢেউয়ের আঘাতে
ক্ষণে ক্ষণে। বন্দুকের নলে
মৃত্যু চোখ পিটপিট করে চরমুখী
এক ঝাঁক পাখি দেখে। অকস্মাৎ গুলির ধমকে
স্তব্ধাতার বুক কাঁপে, চরে রক্তলেখা
সাপের ধরনে এঁকে বেঁকে যায়, বাঁকানো টুপির
পাশে জাগে পালকের মসৃণ উল্লাস।
রক্তাপ্লুত পাখিগুলি যাবে শহরের
কিচেনে সুখাদ্য হ’তে। যে মহিলা আমাকে নন্দনতত্ত্ব খুব
সহজে শিখিয়েছেন চোখে
কখনও নিবিড় বনজ্যোৎস্না ডেকে এনে
কখনও বা কী সুদূর বৈজয়ন্তী রূপটান এনে,
তিনি অবলীলাক্রমে রন্ধনশিল্পের
সেরা নিদর্শন
সযত্নে পরিবেশন করবেন টেবিলে, তখন
প্লেটে হত পাখিদের প্রণয়ের ভাষা
আর্তনাদ হ’য়ে উঠবে কি লহমায়?