অম্বর মাঝে ছেয়ে আছে যেন নীল শরতের পাতা,
শরৎ ঋতুতে নীলাভ মেঘের তূরীয়ানন্দে মাতা।
প্রকৃতির কত রূপের বাহার উজল রবির হাসি,
সোনালি রোদের দ্যুতির ছটায় চরাচরে খুশি রাশি।
মাঠে ঘাটে তটে কাশের ঝাড় দিগচক্রবাল ফাঁকে,
নীল শরতের পাতায় পাতায় অলিক কোলাজ আঁকে।
ভাটিয়ালি সুরে আগমনি গেয়ে দাঁড় বেয়ে চলে নেয়ে,
ভরা নদী জল করে টলটল পদ্ম শালুক ছেয়ে।
দিগঙ্গনায় শরতের নীল পাতা দেয় হাতছানি,
হস্তীর রথে সেই নীল পথে আসবে শরৎ রানি।
ধরার মাঝেতে রৌদ্র ছায়ার লুকোচুরি খেলা দেখে,
বলাকার দল সুদূরে হারায় নীলের পরশ মেখে।
কি যে অপরূপ শরৎ নীলের লীলা চলে প্রতি পলে,
উমা মাতা তরে ধরিত্রী সাজে হেম ধারা নভ তলে।
নীল শরতের পাতায় পাতায় উমার স্পর্শ তরে,
পদ্ম শালুক কচু কলা পাতা খুশিতে যায় যে ভরে।
শরতের নীল পাতায় তখন মায়ের পরশ লাগে,
শিহরণ জাগে বন উপবনে দোলন ফুলের বাগে।
আসছেন উমা মর্ত ধামেতে একটি বছর পরে,
সাজো সাজো রব ধরা মাঝে তাই দিন কাটে মা’কে স্মরে।