Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » লিঙ্গ পুরাণ || Prithviraj Sen

লিঙ্গ পুরাণ || Prithviraj Sen

ব্রহ্মা মহাদেবের প্রাধান্য প্রমাণের জন্য লিঙ্গ পুরাণ বর্ণনা করেন। পরবর্তীকালে ব্যাসদেবের কাছে মহামুনি লোমহর্ষণসূত জ্ঞানলাভ করে নৈমিষারণ্যে শোণকাদি মুনিদের কাছে ব্যক্ত করেন।

শিবভক্ত দধীচি মুনির প্রতাপ

তপোবনে বাস কলেন দধীচি মুনি, যিনি মহাত্মা চ্যবণ মুনির পুত্র। ক্ষুপ নামে এক মহান তেজস্বী রাজা ছিলেন অহংকারে মাটিতে যাঁর পা পড়ত না। দধীচ মুনি যিনি পূজার্চনা নিয়ে কাল কাটান এবং একজন অহংকারী রাজা যিনি রাজপ্রাসাদে বিলাস ব্যসনে থাকেন। কিন্তু দু’জনের মধ্যে খুব বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল।

একবার অসুর আর দেবতাদের মধ্যে সংগ্রাম শুরু হলে দেবতারা অসুরদের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারছে না। তখন ইন্দ্র অসুরদের সঙ্গে যুদ্ধ করবার জন্য ক্ষুপ রাজাকে আহ্বান জানালেন আর এই যুদ্ধে দেবতাদের জয় হল। খুশি হয়ে ইন্দ্র ক্ষুপ রাজাকে একটি বজ্ৰান্তর পুরস্কার হিসাবে দিলেন। ইন্দ্রের নিজস্ব অস্ত্র বজ্র, সেই বজ্র থেকে আর একটি একই রকম তেজসম্পন্ন বজ্ৰ সৃষ্টি করেন ইন্দ্র, সেটি হচ্ছে বজ্রান্তর। স্বাভাবিকভাবে এই পুরস্কারের জন্য ক্ষুপ রাজার অহঙ্কার একটু বেশি তো হবেই।

ব্রাহ্মণ শ্রেষ্ঠ, না ক্ষত্রিয় শ্রেষ্ঠ–এই বিষয় নিয়ে দীচ মুনির সঙ্গে ক্ষুপ রাজার একবার বিবাদ শুরু হয়।

রাজা বলেন যে ক্ষত্রিয়রাই শ্রেষ্ঠ, কারণ তিনি রাজ্য শাসন করে সব প্রজাকে সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে রেখেছেন। আবার দেবতাদের হয়ে যুদ্ধ করেছেন, একি কম কথা। গর্ব করে বলেন যে, তিনি ইন্দ্র, সূর্য এবং যম। এ জগতে তিনি ঈশ্বর। কাজেই তাকেই সবার পূজা করা উচিত।

রাজা ক্ষুপের উত্তরে দধীচ মুনি বলেন যে, এটা কখনই হতে পারে না। ব্রাহ্মণ সব সময়েই শ্রেষ্ঠ। রাজা ব্রাহ্মণদের উপদেশমতো চলবে। ব্রাহ্মণের অনুশাসন মেনে চলাই ক্ষত্রিয়ের ধর্ম। তাদের মর্যাদা রক্ষা করাই কর্তব্য। আর তাঁদের ভরণ পোষন তো অবশ্যই করবে।

ক্ষুপ রাজা দধীচ মুনির কথা শুনে রেগে বললেন যে, তা কখনই হতে পারে না। ক্ষত্রিয় রাজা কখনই কারো কাছে মাথা নত করে না। সামান্য ব্রাহ্মণের থেকে ক্ষত্রিয় রাজারা অনেক বেশি বুদ্ধি ধরে। আর সেই কারণে রাজাদের কোনো প্রয়োজন নেই ব্রাহ্মণদের কাছ থেকে বুদ্ধি নেওয়ার। ব্রাহ্মণেরা যদি রাজাদের অবজ্ঞা করে তাহলে তিনি সহ্য করবেন না।

তারপর মহা বাক্‌বিতণ্ডা শুরু হল। হার স্বীকার করতে কেউ রাজী নয়, অবস্থা এমন চরম সীমায় পৌঁছল যে ক্রোধে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে দধীচ মুনি রাজার মাথায় বামহাত দিয়ে এক ঘুসি মারলেন।

তখন আর রাজার ক্রোধ দেখে কে? ইন্দ্রের দেওয়া বজ্রের কথা মনে পড়ায়, সঙ্গে সঙ্গে সেটি তিনি মুনির দিকে ছুঁড়ে মারলেন। বজ্রের প্রহারে মুনি জ্বলে পুড়ে মরতে বসলেন। অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তিনি একমনে শুক্রাচার্যের ধ্যান করলেন। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে শুক্রাচার্য হাজির হলেন। ক্ষুপ রাজা ততক্ষণে সেখান থেকে চলে গেছেন।

মহাদেবের কৃপায় শুক্রাচার্য ‘সঞ্জীবনী বিদ্যা’ নামে এক মোক্ষম বিদ্যা পেয়েছেন। সেই বিদ্যার দ্বারা। শুধু আহত লোকই সুস্থ হয়ে ওঠে তা নয়, মরা লোকও প্রাণ ফিরে পায়। এই বিদ্যার দ্বারা শুক্রাচার্য দধীচ মুনিকে শুধু বিপদ মুক্ত করলেন না, তাকে পূর্ণ যৌবন এক দিব্য পুরুষে পরিণত করলেন।

মুনিবর কৃতজ্ঞতায় শুক্রাচার্যের চরণতলে লুটিয়ে পড়লেন। শুক্রাচার্য তাকে তুলে উপদেশ দিলেন– সে কোন অস্ত্রাঘাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য এবং অমরত্বের বাসনা থাকলে মহাদেবের আরাধনা করতে। কারণ মহাদেবের কাছ থেকে শুক্রাচার্য সকল বিদ্যা লাভ করেছে। মুনিবর যদি সঞ্জীবনী বিদ্যা লাভ করতে পারে, তাহলে ক্ষুপ রাজা তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। বজ্র তো অতি তুচ্ছ কথা, তার চেয়েও কোনো মারাত্মক অস্ত্র তাঁর কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।

এই উপদেশ দিয়ে শুক্রাচার্য অন্তর্হিত হলেন। শুক্রাচার্যের কথা মনে ধরল দধীচ মুনির। তিনি মহাদেবের আরাধনায় মনোনিবেশ করলেন। তার কঠোর সাধনায় শিব তিনটি বর দিলেন। তিনটি বর হল, অন্য কারুরই দ্বারা তার মৃত্যু হবে না, আর কারো অধীনও হবে না তিনি। আর বজ্রাস্থিত্ব অবধ্যতা এবং অধীনতা। অর্থাৎ বজ্র তাঁর কাছে স্তম্ভিত হয়ে যাবে। তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।

এর ফলে দধীচ মুনির বুক অহংঙ্কারে ভরে উঠল। ক্ষুপ রাজার প্রতি প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য দধীচ মুনি রাজার সভায় গেলেন। রাজা সিংহাসনে বসে আছেন। তিনি মুনিকে সমাদর করা তো দূরের কথা যেন দেখেও দেখলেন না। দধীচ মুনি রেগে দিবিদকি জ্ঞানশূন্য হয়ে একেবারে তার মাথায় লাথি মারলেন।

সভার মাঝে মুনির দ্বারা এভাবে অপমানিত হয়ে ক্রোধে রাজা ইন্দ্রের প্রদত্ত বজ্ৰ মুনির বুকের উপর মারলেন। কিন্তু মহাদেবের বলে বলীয়ান মুনির সামান্যতম ক্ষতি করতে পারল না বজ্র। অবাক হয়ে গেলেন রাজা। ইন্দ্রের বজ্রও স্মৃম্ভিত! পরে জানতে পারলেন যে মুনি মহাদেবের বলে বলীয়ান। বড় অনুতাপের সঙ্গে শ্রীহরির শরণাপন্ন হলেন। বিষ্ণু উপাসক রাজা ক্ষুপ। শুদ্ধচিত্তে শঙ্খ-চক্র-গদা পদ্মধারী শ্রীহরির আরাধনা করে চোখ বুজে ধ্যানমগ্ন হলেন। এরপর শ্রীবিষ্ণুর দিব্যরূপ দর্শন করে আনন্দে অভিভূত হয়ে স্তুতিবাক্যে তার স্তব করে বললেন–যে–হে বিষ্ণু, হে নারায়ণ তাঁর দধীচ নামে বিনয়ী ব্রাহ্মণ বন্ধু ছিল। কিন্তু বর্তমানে সে শিবের বলে বলীয়ান হয়ে এমন উদ্ধত হয়েছে তার অর্থাৎ আমার মাথায় পদাঘাত করেছে। তাই শ্রীহরির কাছে তার নিবেদন এই যে তিনি যেন ঐ মুনিকে যেমন করেই হোক পরাস্ত করেন।

ক্ষুপ রাজার প্রার্থনা শুনে ভগবান শ্রীহরি দধীচের অবধ্যত্ব ও শিবের অতুল বিক্ৰম কথা স্মরণ করে তাঁকে বললেন–যে, হে রাজন, শিবের শরণাপন্ন হলে ব্রাহ্মণদের আর কোনো ভয় থাকে না। শিবের ভক্তরা সব সময় অজেয় হয়। নীচ ব্যক্তিরাও যদি শিবের আশ্রয় গ্রহণ করে, তাহলে তারাও নির্ভয় হতে পারে। কাজেই এই প্রার্থনা পূরণ করা সম্ভব নয়। রাজা তার ভক্ত, তাই রাজাকে রক্ষা করা বা প্রার্থনা পূরণ করা তাঁর কর্তব্য কিন্তু শিবের ভয়ে তিনি আর কিছু করতে পারবেন না।

শ্রীহরির কথা শুনে ক্ষুপ রাজা দুঃখিত হয়ে বললেন–যে, প্রভু যখন এমন কথা বলছেন তখন তিনি আর কার কাছে দুঃখ জানাবেন। প্রভুর যা ইচ্ছা তাই করবেন।

রাজা ক্ষুপ এর এই বিনয় বাক্য শুনে শ্রীহরি বললেন–যে, তিনি চেষ্টা করে দেখবেন দধীচ-বিজয় করা যায় কিনা।

এই বলে শ্রীহরি অন্তর্হিত হয়ে ব্রাহ্মণের রূপ ধারণ করে দধীচের আশ্রমে উপস্থিত হলেন। মুনি শিবার্চনা শেষ করে দুয়ারের দিকে তাকিয়ে বিবরকে দেখতে পেলেন। কী প্রয়োজন জানতে চাইলেন।

বিপ্রবেশী শ্রীহরি বললেন–যে, তার কিছু নিবেদন আছে, মুনিবর যাতে দয়া করে শুনে তা পূরণ করেন।

শ্রীহরির কথা শুনে দধীচ মুনি হেসে বললেন–যে শ্রীহরির অভিপ্রায় তিনি সব জানেন। ভক্তের জন্য তিনি ব্রাহ্মণ বেশ ধারণ করেছেন। আর মুনিবর শিবের কৃপায় ভূত, ভবিষ্যত, বর্তমান সব জানতে পারেন। তিনি এ জগতে কাউকে ভয় পান না। তাই শ্রীহরি এখন যাতে এই ব্রাহ্মণবেশ ত্যাগ করেন।

দধীচ মুনির কথা শুনে শ্রীহরি সঙ্গে সঙ্গে তাঁর আসল চতুর্ভুজ মূর্তি ধারণ করলেন। সহাস্য বদনে বললেন–যে, মুনির কোনো ভয় নেই। তিনি শিবের আরাধনা করেন তাই কোন বিষয়ে অজ্ঞতাও নেই। শুধু একটি প্রার্থনা মুনিবর যাতে ক্ষুপ রাজার সভায় গিয়ে একটিবার বলেন, আমি ভয় পেয়েছি।

দধীচ মুনি নারায়ণের প্রার্থনা শুনে রাজসভায় গেলেন বটে, কিন্তু বিপরীত কথা বললেন। দেবাদিদেব শঙ্করের প্রভাবে তিনি এ জগতের কাউকে ভয় পান না।

শ্রীহরি মুনির মুখে এমন কথা শুনে ক্রুদ্ধ হয়ে তাকে দগ্ধ করবার জন্য চক্র উত্তোলন করলেন। কিন্তু শিবভক্ত দধীচ মুনির প্রভাবে সেই চক্রের তেজ ক্ষুপ রাজার সামনে বিনষ্ট হয়ে গেল। চক্র মাঝপথেই আপনা-আপনি থেমে গেল।

দধীচ মুনি চক্রের এমন অবস্থা দেখে একটু ব্যঙ্গ করে বললেন–যে, শ্রীহরি যাঁর অনুগ্রহে এই চক্র পেয়েছেন, সেই মহাদেবের ভক্তকে তিনি হত্যা করতে চান? তাতে তিনি কখনও সফল হতে পারবেন না। বরং ব্রহ্মাস্ত্র বা অন্য কোনো অস্ত্রে আঘাত করার চেষ্টা করতে পারেন।

ভগবান শ্রীহরি তার সুদর্শন চক্র নিবীর্য্য দেখে এবং দধীচ মুনির এমন বাক্য শুনে মুনিকে ক্ষতবিক্ষত করার জন্য চারিদিক থেকে বিভিন্ন প্রকার অস্ত্র ছুঁড়তে লাগলেন। নারায়ণকে সাহায্য করার জন্য অন্য সব দেবতারাও বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে উপস্থিত হলেন। দধীচকে বিনাশ করার জন্য সকলেই চেষ্টা করলেন। কিন্তু মুনিবর মাহদেবকে স্মরণ করে কেবলমাত্র কুশমুষ্টি ধারণ করে দেবতাদের উদ্দেশ্যে নিক্ষেপ করলেন। আর সেই কুশগুলি প্রলয়াগ্নি তুল্য ত্রিশূলের রূপ ধরে দেবতাদের দগ্ধ করতে উদ্যত মাঝপথে মুনি চক্রের এমন বস্তু তিনি হত্যা করতে চেষ্টা করল হল।

বড় আশ্চর্য ব্যাপার! শ্রীহরি ও দেবতাদের নিক্ষিপ্ত সব অস্ত্রগুলি তখন দধীচের নিক্ষিপ্ত ত্রিশূলকে প্রণাম করতে লাগল। এই দেখে প্রাণভয়ে সব দেবতারা সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচল। শ্রীহরি তখন একা। তাই তিনি নিজের দেহ থেকে নিজের তুল্য লক্ষ লক্ষ যোদ্ধার সৃষ্টি করলেন। অল্পক্ষণের মধ্যেই সেই যোদ্ধাদের মুনিবর বিনাশ করলেন।

তখন শ্রীহরি বিরাট মূর্তি ধারণ করলেন মুনিকে বিস্মিত করার জন্য। ভগবানের শরীরের ভেতর পৃথক পৃথক দেবতা, কোটি কোটি রুদ্র ও প্রমথগণ আর অনন্তকোটি ব্রহ্মাণ্ড দেখে দধীচ মুনি সেই বিভু নারায়ণকে জলদ্বারা অভিষিক্ত করে সবিস্ময়ে বললেন–যে, হে বিরাট পুরুষ, আপনি বিচার করে প্রতিভার দ্বারায় আপনার মায়া ত্যাগ করুন। এসব দেখিয়ে হতোদ্যম করবেন না। শিবের দয়ায় তিনিও এইসব ভেল্কি দেখাতে পারেন। এরপর তিনি শ্রীহরিকে দিব্যদৃষ্টি দান করে নিজের শরীরের মধ্যে শ্রীহরির সঙ্গে সমস্ত ব্রহ্মাণ্ড, ব্রহ্মা, রুদ্র প্রভৃতি দর্শন করালেন। তারপর সব দেবময় হরিকে মুনিবর বললেন–যে, হে বিষ্ণো, এই সব মায়া, দ্রব্যশক্তি বা ধ্যানশক্তিতে কি লাভ হবে? এই সব ছেড়ে যদি পারেন তবে যুদ্ধ করুন। আর তা যদি না পারেন, তাহলে তিনি শ্রীহরিকে অভিশাপ দিতে ছাড়বেন না।

হঠাৎই ব্রহ্মা এমন সময়ে সেখানে এসে তাঁদের যুদ্ধ নিবারণ করলেন। ব্রহ্মার বাক্যে তখন বিষ্ণু যুদ্ধ না করে মুনিকে প্রণাম করে সেখান থেকে চলে গেলেন।

ক্ষুপ রাজা এই সমস্ত ঘটনা নিজের চোখেই দেখলেন এবং বুঝলেন শিবভক্তের প্রতাপ। দধীচ মুনির পূজা ও বন্দনাদি করে তিনি প্রার্থনা করলেন যে, তিনি জ্ঞানত যা কিছু করেছেন বা বলেছেন তাতে অবশ্যই তার অপরাধ হয়েছে। হে সখে, হে মুনে, তিনি যেন নিজ গুণে ক্ষমা করে দেন। যে শিবের একান্ত ভক্ত, তাকে নারায়ণ কিংবা দেবতারা কি করতে পারে?

তখন ব্রহ্মর্ষি সত্তম দধীচ অনুগ্রহ করলেন বটে ক্ষুপ রাজাকে, কিন্তু অভিশাপ দিতে ছাড়লেন না–”মুনীন্দ্রগণ, ইন্দ্রাদি দেবতাগণ ভগবান শ্রীহরির সঙ্গে প্রজাপতি দক্ষের যজ্ঞে হর কোপানলে বিনষ্ট হউন।” এই অভিশাপ বাক্য উচ্চারণ করে মুনিবর ক্ষুপ রাজাকে বললেন–যে, দেবতা-রাজাদের চেয়েও ব্রাহ্মণেরা পূজনীয়। ব্রাহ্মণেরাই প্রকৃত বলবান, তাঁরাই নিগ্রহ ও অনুগ্রহ করতে সমর্থ।.

এই কথা বলে ব্রহ্মর্ষি দধীচ নিজের পর্ণকুটিরে ফিরে গেলেন।

Pages: 1 2 3 4 5 6
Pages ( 1 of 6 ): 1 23 ... 6পরবর্তী »

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *