একদিন সবাইকে জানিয়ে গাঙচিলের মতো উড়ে যাবো
অঝোর ধারায় শরীর দিয়ে ঝরে পড়বে পরিশ্রমের প্রস্বেদন।
সেদিনও দুই কানে বাজবে বিচিত্রপুরের রুনু দিদির বিচিত্র কন্ঠস্বর
‘ভাই-একদিন তুমি আকাশের লোহিত দৈত্যের মতো উজ্জ্বল হবে ‘
ভুলিনি সেকথা, আজও কারণে অকারণে যখন নিভৃতে গিয়ে ভাবি
মনে পড়ে গরান গাছের কুঠুরি দিয়ে বাংলার পেঁচার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি
বাদাবনের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনাথ কচ্ছপের ভাস্কর্য
আর একটু দূরে বালুতটে রুনু দিদির স্নেহ ভরা ইশারায় হাতছানি।
জানি ঘুরন্ত এই পৃথিবীতে আবার একদিন আসবে সেই বরফ যুগ,
সেই বরফে মমি হয়ে তুমি দেখা দিও
মোনালিসার মতো চোখ দেখে আমি ঠিক চিনে নেবো তোমায়।
এস্কিমো হয়ে ঈগলুর আচ্ছাদনে আমি তোমায় রাখবো
দিন রাত অবিরাম তোমার চোখজোড়ায় পৃথিবী দেখবো, মনে রাখবো রুনুদি।।