সাঁওতালদি ব্যাণ্ডেল একে একে নিভে গেলে
নিরীহ মানুষটি অন্ধকারে পা ফেলে
হেঁটে যায় মাঠ গাছ নদী
সারারাত ধরে তারা খসে
মানুষটি দাঁড়িয়ে থাকে সেই স্বচ্ছ আঁধারের বশে
মোহানায় সাঁতারের নুন মাখে বাঘ ডোরাকাটা
ডাঙায় হাঁ করে থাকে কুমির বিশাল
মানুষটি হাই তোলে ঘুমচোখে
সাদা খোঁচা খোঁচা দাড়ি, তোবড়ানো রোগা তার গাল
অবাক দাঁড়িয়ে দেখে তারা ঝরে কত
ওরাও কি ঝাঁপ খায় নেশা করা মানুষের মতো
এই কথা ভর করে তাকে
যেখানে সূর্য ডোবে সেই ঘাট থেকে
এই ভবসাগরের শুরু
আকাশে কাঠের ধোঁয়া ফাটা চাঁদ শাখা নোয়া
বাতাসে অগুরু
শামুকের ভাঙা খোলা নিঃসাড়ে চিরে দেয় পা
কাদায় রক্ত টানে তবু সে শব্দ করে না
মানুষটি হেঁটে চলে আর তাকে ঘিরে
সারারাত খসে পড়ে তারা
আসল যুক্তি হল নিজেকে তেমন তুলে ধরা
কখনও প্রদীপ হয়ে কখনও বা মানতের সরা
এত কিছু জানে ঐ লোক
জানে দাঁড়িয়ে থাকতে হলে পা ফেলতে হয়
আর পা ফেললে হয় দেশ দেখা
ওর কাছে কষ্ট নিয়ে আমি যেন হতে পারি ওর মতো একা
সাঁওতালদি ব্যাণ্ডেল একে একে নিভে গেলে
নিরীহ মানুষটি অন্ধকারে পা ফেলে